بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক পূতঃপবিত্র। নানা
কারণে এ বন্ধনে ফাটল ধরা স্বাভাবিক। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক নষ্ট
হোক এটা কারোরই কাম্য নয়। একান্তই যদি স্বামীর প্রতি স্ত্রী কিংবা স্ত্রীর প্রতি স্বামী
অসন্তুষ্ট হয় তবে তাদের জন্য করণীয় হলো আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী বেশী ইস্তেগফার করা
ও পরস্পরে একে অপরকে ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখা।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاء بِمَا فَضَّلَ اللّهُ بَعْضَهُمْ
عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُواْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ
حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللّهُ وَاللاَّتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ
فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ
أَطَعْنَكُمْ فَلاَ تَبْغُواْ عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيًّا
كَبِيرًا
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ
জন্য যে, আল্লাহ
একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের
অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে
দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর
তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি
তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান
করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।(সূরা নিসা-৩৪)
فانطلقنا فأتينا على مثل التنور قال وأحسب أنه كان يقول فإذا
فيه لغط وأصوات قال فاطلعنا فيه فإذا فيه رجال ونساء عراة وإذا هم يأتيهم لهب من
أسفل منهم فإذا أتاهم ذلك اللهب ضوضوا ، وفي آخر الحديث سأل عنهم صلى الله عليه
وسلم فقيل: وأما الرجال والنساء العراة الذين في مثل بناء التنور فإنهم الزناة
والزواني. رواه البخاري
“আমি স্বপ্নে একটি চুলা দেখতে পেলাম যার উপরের অংশ ছিল চাপা আর
নিচের অংশ ছিল প্রশস্ত আর সেখানে আগুন উত্তপ্ত হচ্ছিল, ভিতরে নারী পুরুষরা চিল্লাচিল্লি
করছিল। আগুনের শিখা উপরে আসলে তারা উপরে উঠছে, আবার আগুন স্তিমিত
হলে তারা নিচে যাচ্ছিল, সর্বদা তাদের এ অবস্থা চলছিল,
আমি জিবরীল আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলামঃ এরা কারা? জিবরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললঃ তারা হল, অবৈধ যৌনচারকারী
নারী ও পুরুষ। (সহীহ বুখারী-৭০৪৭)
হাদিস শরিফে ব্যভিচারের ভয়ানক শাস্তির
কথা বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে মুসলমানগণ! তোমরা ব্যভিচার পরিত্যাগ কর।
কেননা এর ছয়টি শাস্তি রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি দুনিয়াতে ও তিনটি আখেরাতে প্রকাশ পাবে।
যে তিনটি শাস্তি দুনিয়াতে হয় তা হচ্ছে, তার চেহারার ঔজ্জ্বল্য বিনষ্ট
হয়ে যাবে, তার আয়ুষ্কাল সংকীর্ণ হয়ে যাবে এবং তার দারিদ্রতা চিরস্থায়ী
হবে। আর যে তিনটি শাস্তি আখেরাতে প্রকাশ পাবে তা হচ্ছে, সে আল্লাহর
অসন্তোষ, কঠিন হিসাব ও জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে।’ (বায়হাকি,
হা নং ৫৬৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
বিবাহ পূর্ব সম্পর্ক যেহেতু হারাম বিধায়
উক্ত হারাম সম্পর্কের কারণে আল্লাাহ তায়ালার কাছে কান্না করতঃ খুব বেশী ক্ষমা প্রার্থনা
করা ।এবং আপনার স্বামীর কাছে অত্যন্ত বিনয়ী হয়ে ক্ষমা চাওয়া ও নিজের পূর্ব সম্পর্কের
জন্য অনুতপ্ত হওয়া ।সাথে সাথে পূর্বের হারাম রিলেশনের যত চিঠিপত্র বা ফটো আছে তা জ্বালিয়ে দেওয়া বা নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া আপনার জন্য আবশ্যক।