بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি জানতে
পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর— তাহলে তখন কোন দোয়া পড়বো? তখন তিনি বললেন, তুমি
বলো—
اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي
অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা
করুন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নফল নামাজের সেজদায়
ও আখেরী বৈঠকে কুরআন সুন্নাহর বর্ণিত দোয়া ব্যাতিত যেকোনো দোয়া,ওলামায়ে কেরামের রচিত বিভিন্ন দোয়া করা যাবে, সমস্যা নেই। কিন্তু দুনিয়াবি দুআ
করা যাবেনা,এবং আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না।ফরজ
নামাজে নির্দিষ্ট দোয়া ব্যাতিত অন্যান্য দোয়া করা ঠিক নয়। উলামায়ে কেরামগন নিষেধ করেছেন।তবে
কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে ফরজ নামাজে কুরআন সুন্নাহর বর্ণিত দোয়া ব্যাতিত যেকোনো দোয়া,ওলামায়ে কেরামের রচিত বিভিন্ন দোয়াপড়া জায়েয আছে। তবে তারা ফরজ নামাজে কুরআন
সুন্নাহে বর্ণিত দূআ ব্যাতিত অন্যান্য দুআ
করা থেকে অনুৎসাহিত করেছেন।
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ
يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ
وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি
জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭,
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ
ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে
হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
فى الدر المختار– ( ودعا ) بالعربية ، وحرم بغيرها، (كتاب الصلاة، باب
صفة الصلاة، مطلب فى الدعاء بغير العربية، 2/233-234)
যার সারমর্ম হলোঃ নামাজে আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় দোয়া পড়া নাজায়েজ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
প্রশ্নোক্ত দুয়াটি শবে বরাতে বিশেষ গুরুত্ব রাখে,তবে শবে বরাত ছাড়াও যে কোন দিন যে কোন সময় উক্ত
দুয়া পড়া যাবে এবং আপনি নফল সালাতের সেজদাতেও মধ্যেও দুয়াটি পড়তে পারেন।