জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মা বাবার সর্বদায় আনুগত্য করতে হবে,তাদের কথার নাফরমানী করা যাবেনা।
তাদের সাথে সর্বদায় ভালো ব্যবহার করতে হবে।
তারা কষ্ট পায়,এমন কাজ কখনোও করা যাবেনা।
মাতাপিতার দেখভাল করা ও তাদের সাথে উত্তম আচরণ করা শরীয়ত কর্তৃক ফরয ঘোষনা করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا
“আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)
আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,
وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)
আরো জানুনঃ
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেকোনো ভাবেই হোক,তাদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তাদের
জীবিত থাকাকালীন ক্ষমা চেয়ে নিতে না পারলে মারা যাওয়ার পর তাদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করবে, সদকাহ করবে,ঈসালে ছওয়াব করবে।
,
(০২)
আপনি সাধ্যমতো তাদেরকে বুঝাবেন,ঐ পরিবারে গেকে বেপর্দা হওয়া,দ্বীনের খেলাফ কাজ হওয়ার প্রবল আশংকা থাকলে এক্ষেত্রে আপনার জন্য মাতা পিতার আদেশ অমান্য করা জায়েজ আছে।
,
(০৩)
যদি তাতে ময়লা/চায়ের গুড়ো ইত্যাদি জমে না থাকে,বরং ফ্রেস চা/কফি হয়,তাহলে তাহা অপচয় হবে।
,
আর যদি ময়লা ইত্যাদি থাকে,তাহলে তাহা ফেলে দিতে কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৪)
এটি আপনার আসন্ন বিবাহের প্রস্তাব আসার প্রতি ইঙ্গিত বহন করছে।