জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ভুল সম্পর্কে মুতাকাদ্দিমিনে ফুকাহায়ে কেরামদের মতে যদি আপনি সঠিক উচ্চারণ এর উপর শক্তি রাখা সত্ত্বেও এইভাবে উচ্চারণ করে থাকে,তাহলে সেই নামাজ পুনরায় পড়া আবশ্যক।
তবে মুতায়াখখিরিন উলামায়ে কেরামদের মতে উক্ত নামাজ হয়ে যাবে।
পুনরায় আদায় করা আবশ্যক নয়।
তবে আপনি সতর্কতামূলক উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করে নিবেন।
ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৮৫ তে আছেঃ
من لا یقدر علی التلفظ بحرف من الحروف کالرھمٰن الرھیم والشیتان الرجیم والاٰلمین وایاك نابد و ایاك نستئین السرات،انأمت فکل ذلك حکمہ مامر من بذل الجھد دائما والا فلاتصح الصلٰوۃ بہ
সারমর্মঃ
কেহ যদি সঠিক ভাবে উচ্চারণ করতে পারেনা, সে যদি বড় হা এর স্থানে ছোট হা,ত্ব এর স্থানে তা পড়ে,তাহলে তারা নামাজ আদায় হবে।
তবে যদি সঠিক ভাবে আদায়ের উপর শক্তি রাখে,তাহলে নামাজ ছহীহ হবেনা।
قال فی رد المحتار: فإن لم یکن مثلہ فی القرآن والمعنی بعید متغیر تغیرا فاحشا یفسد أیضا کہذا الغبار مکان ہذا الغراب.وکذا إذا لم یکن مثلہ فی القرآن ولا معنی لہ کالسرائل باللام مکان السرائر.(الدر المختار وحاشیة ابن عابدین (رد المحتار) 1/ 631)
সারমর্মঃ
যদি উনুরুপ বাক্য কুরআনে না থাকে,আর অর্থ ব্যাপক ফাসেদ হয়,তাহলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সতর্কতামূলক উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করে নিবেন।