আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in পবিত্রতা (Purity) by (14 points)
আসসালামুআলাইকুম,

হানাফি মাযহাব দৃঢ় ভাবে অনুসরণ করতে যেয়ে আমি খেয়াল করলাম যে হানাফি মাযহাবে পবিত্রতার বিষয়টি অনেক কঠিন। এমনটি কেন? আর এ কারণে আমি পবিত্রতা নিয়ে শুচিবায়ু তে ভুগছি।দেখা যায় যে,গোসলে অনেক সময় লাগে,ইস্তেনজা তে অনেক সময় লাগে । আগে আমি সালাফিদের অনুসরণ করতাম তখন এ শুচিবায়ু সমস্যা  কম ছিল। কোনো  অঙ্গে অদৃশ্যমান নাপাকি লাগলে তা তিনবার ধুতে হয় আবার তা ধোয়ার সময় অন্যান্য অঙ্গে ছিটা লাগে আবার অপর অঙ্গ ধুতে হয়।এভাবে অনেক সময় নামাজের জামাত ধরতে অসুবিধা হয়।এ বিষয়গুলো থেকে রেহাই পেতে কি পবিত্রতার ক্ষেত্রে সালাফিদের অনুসরণ করা যাবে? বা এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?

একই মাসে ৫ নং ফাতওয়া জিজ্ঞেস করার জন্য মাফ করে দিয়েন কিন্ত বিষয়টি জানা জরুরি ছিল তাই অন্য একাউন্ট থেকে প্রশ্ন করলাম।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ [ص:56] فِي الثَّوْبِ تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَأَثَرُ الغَسْلِ فِيهِ» بُقَعُ المَاءِ

অনুবাদ- আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯}

অন্যান্য হাদীসে এসেছে-

يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ

আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}

★নাপাক বস্তু পবিত্র করার পদ্ধতিঃ

পবিত্রকরণ এর দিক দিয়ে নাজাসত আবার দুই প্রকারঃ যথা-

(ক) দৃশ্যমান নাজাসত

(খ)অদৃশ্যমান নাজাসত

(ক)কাপড়ে প্রথম প্রকার তথা দৃশ্যমান নাজাসত লাগলে সেই নাজাসতকে দূর করে দিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নাজাসত দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই।যতবার ধৌত করলে নাজাসত দূর হবে ততবারই ধৌত করতে হবে।যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায় তবে একবারই ধৌত করতে হবে।

(খ)কাপড়ে দ্বিতীয় প্রকার তথা অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭) 

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/118

★★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিটি কাপড় পাক করা সংক্রান্ত ছিলো।
শরীর পাক করার বিধান এমনটি নয়।
পানি দিয়ে ভালোভাবে ধৌত করে নাপাকি চলে গেলেই উক্ত স্থান পাক হয়ে যাবে।
 
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো অঙ্গে অদৃশ্যমান নাপাকি লাগলে তা তিনবার ধুতে হবেনা।
পানি দিয়ে ভালোভাবে ধৌত করলেই উক্ত স্থান পাক হয়ে যাবে।
(একবারও পানির ব্যবহার করা যাবে)
এক্ষেত্রে উক্ত অঙ্গ ধোয়ার সময় অন্যান্য অঙ্গে ছিটা লাগলে সেটি এক দিরহাম (৫ টাকায় কয়েন) সমপরিমাণ চেয়ে কম হলে সেটি নিয়েও নামাজ পড়া যাবে।

যদি বেশিই লাগে,তাহলে তার উপর একবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
আর কোনো সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...