ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একবার কুলি করাই যথেষ্ট, গড়গড়িয়ে কুলি করা জরুরি নয়।
,
(০২)
হ্যাঁ, ঐ জায়গাও ধুয়ে ফেলবেন।
,
(০৩)
রক্ত মুখে কুলি করতে গিয়ে বেসিনের ছিটে আসা শরীরে লাগা পানি নাপাক ধরা হবে।
অতঃপর বেসিন অন থাকার কারনে কিছু পানি চলে যাওয়ার পর শরীর/কাপড়ে লাগা সেই ছিটে আসা পানি ধৌত করার সময় পুনরায় বেসিনের ছিটে আসা পানিকে প্রয়োজনের ভিত্তিতে নাপাক বলা হবেনা।
,
(০৪)
যদি মুখে রক্ত অবশিষ্ট না থাকে,তাহলে মুখ পাক হবে।
উক্ত গ্লাসে রক্তের স্পর্শ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাই সেটি সতর্কতামূলক ধুয়ে নিবেন।
,
(০৫)
ইস্তিঞ্জার পর বা শরীরের কোনো জায়গার নাপাকি ধুতে গেলে দেখা যায় তা ফ্লোর থেকে বা সরাসরি ছিটে শরীরের অন্যান্য জায়গায় লাগে। এক্ষেত্রে শুধু সেই ছিটে আসা পানি ধুয়ে ফেলবেন।
সেটি ধোয়ার সময় তার থেকে ছিটে আসা পানি ধুয়ে ফেলতে হবেনা।
(০৬)
হ্যাঁ, তাহা নাপাক।
তাই এক্ষেত্রে পুনরায় ফ্লোরে পানি ঢেলে দিবেন।
,
(০৭)
এক্ষেত্রে যেভাবে নাপাকি পরিষ্কার করা হয়, সেভাবে তাহা পরিস্কার করতে হবেনা।
সম্পূর্ণ শরীরে পানি ঢালার সময় সেই স্থান পাক হয়ে যাবে।
হাত পুনরায় ধোয়া আবশ্যক নয়।
(০৮)
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّهَا قَالَتْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ بِصَبِيٍّ، فَبَالَ عَلَى ثَوْبِهِ، فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَتْبَعَهُ إِيَّاهُ
উম্মুল মু’মিনীন আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ-এর কাছে একটি শিশুকে আনা হল। শিশুটি তাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি আনালেন এবং এর ওপর ঢেলে দিলেন। (সহীহ বুখারী ২২২)
وَكَذَا لَوْ لَفَّ الثَّوْبَ النَّجَسَ فِي ثَوْبٍ طَاهِرٍ وَالنَّجَسُ رَطْبٌ مُبْتَلٌّ وَظَهَرَتْ نَدْوَتُهُ فِي الثَّوْبِ الطَّاهِرِ لَكِنْ لَمْ يَصِرْ بِحَالٍ لَوْ عُصِرَ يَسِيلُ مِنْهُ شَيْءٌ مُتَقَاطِرٌ لَا يَصِيرُ نَجَسًا. اهـ
যদি ভিজা নাজাসত সম্ভলিত কাপড়কে পবিত্র কাপড়ের সাথে লেপ্টিয়ে দেয়া হয় বা ভাজ করা হয়,এবং শুকনা কাপড়ে নাজাসতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়,যদি শুকনো কাপড় এমন পর্যায়ে পৌছে না যে,তাকে চিপানো হলে, তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত কাপড় নাপাক হবে না।(আল-বাহরুর রায়েক-১/২৪৪)
আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
لُفَّ طَاهِرٌ فِي نَجِسٍ مُبْتَلٍّ بِمَاءٍ إنْ بِحَيْثُ لَوْ عُصِرَ قَطَرَ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا. وَلَوْ لُفَّ فِي مُبْتَلٍّ بِنَحْوِ بَوْلٍ، إنْ ظَهَرَ نَدَاوَتُهُ أَوْ أَثَرُهُ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا.
যদি পবিত্র কাপড়কে -অপবিত্র এমন কাপড় যা পানি দ্বারা ভিজা থাকে- এর সাথে ভাজ করা হয়ে থাকে,যদি পবিত্র শুকনো কাপড় এমনভাবে ভিজে যে,তা তাকে চিপানো হলে তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে সেই শুকনো পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হয়ে যাবে।নতুবা অপবিত্র হবে না।আর যদি শুকনো কাপড়কে প্রস্রাব ইত্যাদি দ্বারা ভিজা কাপড়ের সাথে ভাজ করা হয় বা লেপ্টানো হয়,যদি পবিত্র কাপড়ে নাজাসতের কোনে চিহ্ন পরিলক্ষণ করা যায়,তাহলে উক্ত পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হবে, নতুবা অপবিত্র হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি সরিয়ে অন্য জায়গার রাখার পর নাপাকির কোনো চিন্হ,গন্ধ আর না পাওয়া যায়,তাহলে তাহা নাপাক হবেনা।
তবে এটি শুকিয়ে যাওয়ার কারনে বা পানির সাথে মিশিয়ে যাওয়ার কারনেও হতে পারে।
তাই এমনটি হলে সেটিকে নাপাক ধরে নিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
,
(০৯)
যদি ঘামের কারনে এক দিরহাম তবা তার চেয়ে বেশি হয়ে যায়,তাহলে সেটি সহকারে নামাজ হবেনা।