আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
427 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
edited by
আস সালামু আলাইকুম।  সম্মানিত শায়েখ

আমি এখন বর্তমান কোরআন শুদ্ধ করি পড়তে পারি এবং মাখরাজ সঠিক ভাবে উচ্চারণ করতে পারি কিছু কিছু মাখরাজ ছাছাড়া তবে কাছাকাছি যায় আর একটা মুফতি সসাহেব এর থেকে শিখতেছি । কিন্তু অনেক দিন আগে যখন আমি কোরআন পড়তে পারতাম তবে মাখরাজ ঠিক ছিলোনা । তখন আমি একবার মসজিদে নামায পড়তে  একটা গ্রামে বহু আগে 6 মাস মতো হবে। কিন্তু আমাকে ইমামতি তে দাড়ান করায় দেয় ।গ্রামের মানুষজন ছিলো এখন আমি বলেছিলাম যে আমি মাদ্রাসার ছাএ না তবুও লোকজন দিয়েছিলো ।আমি কি করবো লজ্বাগ আমি দাড়িয়েছি ।  কিন্তু আমি তখন লাহনে জলি বুঝতাম না কিন্তু এখন বুঝি । এখন আমি ২ ওয়াক্ত সালাত যে পড়িগেছিলাম আমার মনে হহচ্ছে আমার লাহনি জলি আছে । আল্লাহ ভালো জানেন ।
প্রশ্ন 1:  এখন সালাত কি আমি দেহড়িয়ে নেবো ।

প্রশ্ন ২:     যদি  আমার সালাত না হয়ে থাকে তাহলে মুক্তাদির ও তো হয়নি এখন ওই সময় যেসকল মুক্তাদি আমার পিছনে ছিলো এখন আমি তাদের কোথায় খুজে পাবো কিভাবে বলবো ।  ওইদিন তো গ্রামে হাট ছিলো কোন মানুষ এসেছে আমি কাওকে ছিচিনা। আমি ঘুরতে ঘুরতে গ্রামে গেছিলাম।  এখন আমার করনীয় কি।
প্রশ্ন ৩: আমিতো জানি আমি ইমাম এখন এই নামায ফাসিত হয়ে গেলে মুক্তাদির গোনাহ ইমাম এর হবে ।  এখন আমার কি কেয়ামত দিবসে সমস্ত মুক্তাদির গোনাহ বহন করা লাগবে । আমি প্রতিনিয়ত এটার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। এখন কি করবো আমি যদি বলতেন ।
............................................................................
  আমি হুরমত সম্পর্কে জানতাম না কখনও জেনেছি কিছুদিন আগে আপানদের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে । এখন আমি বাবা মায়ের ঘরে প্রবেশ করিনা তেমন রাতে।  নামাযের সময় ঢাকতে গেলে দুর থেকে ডাকি । কিন্তু আমার জীবনে এই হুরমত এর মতো এএকটা কাহিনি ঘেটেছে কিনা আল্লাহ ভালো জানেন। ছোট বেলা যখন আমি ইসলাম বুঝতাম না।
হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

এগুলো আপনারা বলেছেন আমি পড়েছি।
ছোটবেলায়া ৮ এ থাকতে তখন বিভিন্ন খারাপ আর্টিকেল পড়তাম তখন খুব লেখালিখি হতো মিডিয়াতে তসলীমা নাসরিন এর সহ বিভিন্ন ব্লগার এর এখানে তো মা ভাবি কতো কি দিয়ে লেখা ।
তখন আমি এগুলো পড়তাম। শায়েখ আমি বিষয়টা একটু খোলা করেই বলছি যেহেতু আপনাদের সত্য জানানো উচিত।
তখন আমার মা আমার কাছে ঘুমাতো যেহেতু দ্বীন না বুঝলে যা হয়।  তবে এটা আমার জীবনে একবারই হয়েছে।  আমি ঘুমের ভিতরে আমার ওইসব আর্টিকেল মনে পড়ে গেছে তখন আমি এসব খারাপ চিন্তা থেকে বাচার চেষ্টা করছি।  কিন্তু আমার লিঙ্গ দাড়িয়েছে কিনা আমি জানিনা যেহেতু বহু বছর আগের ঘটনা। আর যদিও দাড়িয়ে থাকে সেটা স্বপ্নের কারণে দাড়াতে পারে যেহেতু স্বপ্ন দেখলে বা সকালের দিকে লিঙ্গ দাড়িয়ে যায়। আল্লাহ ভালো জানেন আমার সঠিক মনে নেই যতদুর মনে করতে পারছি তাই লিখছি । তবে আমি ওইসব মেন্টালি কখনখ চিন্তাও করিনি।
প্রশ্ন। ৪:  এখন আমি কি করবো হুরমত কিনা বুঝতেও পারছি না। আমার বাবা মার বয়স 75-55 এর বেশি হবে। এখন আমার করনীয় কি?  আমি অনেক কান্নাকাটি করছি আল্লাহর কাছে।  হুরমত বিষয়টা জানার পরে যেহেতু হুরমত কি জিনিস আমি জীবনে প্রথম শুনলাম সপ্তাহ খানেক আগে

প্রশ্ন 5:  আমার ভাই এর ৬ বছরের ছেলে  যদিও অনেক  ছোট।বয়সের সাথে বাড়েনি তেমন।   আমার বাবা মার কাছে ঘুমায়। কতো বছর বয়স পপর্যন্ত সে ঘুমাতে পারবে।  যদি বলতেন ।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(১.২.৩)
মসজিদের ইমামের তিলাওয়াত শুদ্ধ হতে হবে।
কেননা তার নামাজের উপরেই সকলের নামাজের শুদ্ধতা নির্ভর করে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম ও মুয়াযযিনের ব্যাপারে বলেছেন,
ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ
‘ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন’। (তিরিমিযী ২০৭)

★শরীয়তের বিধান হলো কুরআনে কারীম শুদ্ধ করে পড়তে পারে এমন ব্যক্তি অশুদ্ধ তিলাওয়াত কারী ইমামের পিছনে নামায পড়লে তার নামায হয় না। 

فى الفتاوى الهندية – ولا يصح اقتداء القارئ بالأمي وبالأخرس
কিরাত বিশুদ্ধ এমন ব্যক্তির নামায কেরাত অশুদ্ধ এমন ব্যক্তির পিছনে শুদ্ধ হয় না। 

ফাতাওয়া শামী- ২/৩২৪
ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৪৩-১৪৪
আলবাহরুর রায়েক-১/৬৩০-৬৩১
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া-২/২৫৬
বাদায়েউস সানায়ে-১/৩৫২
আল হিদায়া-১/১৩০


فى الفتاوى الهندية – ولا يصح اقتداء القارئ بالأمي
 
উম্মির(অর্থাৎ যার কেরাত অশুদ্ধ) পিছনে ক্বারীর(অর্থাৎ যার ক্বিরাত বিশুদ্ধ) ইকতিদা সহীহ নেই। ফাতাওয়া শামী- ২/৩২৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৪৩-১৪৪, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া-২/২৫৬

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 581):
"(و) لا (غير الألثغ به) أي بالألثغ (على الأصح) كما في البحر عن المجتبى، وحرر الحلبي وابن الشحنة أنه بعد بذل جهده دائماً حتماً كالأمي، فلايؤم إلا مثله
সারমর্মঃ
যে ব্যাক্তি কিরাআত শুদ্ধ পড়ার উপর শক্তি রাখেনা,সে কিরাআত শুদ্ধ পাঠ কারীর ইমাম হতে পারবেনা।
তবে তার মতো ব্যাক্তিদের ইমাম হতে পারবে।    

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,    
সেই সময় যদি সেই মসজিদে আপনার থেকে উত্তম নামাজ পড়ানে ওয়ালা,উত্তম কিরাআত ওয়ালা ব্যাক্তি না পাওয়া যায়,তাহলে আপনার ইমামত জায়েজ আছে।
তবে কোনো ভালো কিরাআত পাঠ কারী এসে গেলে ইক্তেদা করলে সে তার নামাজ পুনরায় আদায় করে নিবে।

(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/২৭০.ইমদাদুল ফাতওয়া ১/৪০৬.ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ২/২২৪.ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ৯/৬০)

ঐ মসজিদে আপনি যেই নামাজ গুলি পড়িয়েছিলেন,সেই নামাজ গুলোর সাধারণত যারা মুক্তাদি থাকে,এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে জেনে নিবেন যে তাদের মধ্যে কেউ কুরআন শুদ্ধ পাঠ কারী আছে কিনা?
যদি তাদের মধ্যে কেউ কুরআন শুদ্ধ পাঠ কারী না থাকে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
প্রশ্নে উল্লেখিত সকলের নামাজ হয়ে গিয়েছে।
,
আর যদি কোনো কুরআন শুদ্ধ পাঠ কারী থাকে,তাহলে তাকে পুনরায় ঐ দুই ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে নিতে বলবেন।
,
(০৪)
এক্ষেত্রে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
,
(০৫)
দশ বছর বয়স হলে তাকে আলাদা করে দেওয়া জরুরী।

পৃথক বিছানা সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
হযরত আমর বিন শুয়াইব তার সুত্রে বর্ণনা করেন,

ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣُﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻛُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﺳَﺒْﻊِ ﺳِﻨِﻴﻦَ ، ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﻋَﺸْﺮٍ ، ﻭَﻓَﺮِّﻗُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻀَﺎﺟِﻊِ ) .

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সপ্ত বর্ষে উপনীত হয়।নামায না পড়ার ধরুণ তাদেরকে প্রহার করো যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হয়।এবং সাথে সাথে তাদের শয়নস্থল কে পৃথক করে দাও।(সুনানু আবি-দাউদ-৪১৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...