জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(১.২.৩)
মসজিদের ইমামের তিলাওয়াত শুদ্ধ হতে হবে।
কেননা তার নামাজের উপরেই সকলের নামাজের শুদ্ধতা নির্ভর করে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম ও মুয়াযযিনের ব্যাপারে বলেছেন,
ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ
‘ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন’। (তিরিমিযী ২০৭)
★শরীয়তের বিধান হলো কুরআনে কারীম শুদ্ধ করে পড়তে পারে এমন ব্যক্তি অশুদ্ধ তিলাওয়াত কারী ইমামের পিছনে নামায পড়লে তার নামায হয় না।
فى الفتاوى الهندية – ولا يصح اقتداء القارئ بالأمي وبالأخرس
কিরাত বিশুদ্ধ এমন ব্যক্তির নামায কেরাত অশুদ্ধ এমন ব্যক্তির পিছনে শুদ্ধ হয় না।
ফাতাওয়া শামী- ২/৩২৪
ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৪৩-১৪৪
আলবাহরুর রায়েক-১/৬৩০-৬৩১
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া-২/২৫৬
বাদায়েউস সানায়ে-১/৩৫২
আল হিদায়া-১/১৩০
فى الفتاوى الهندية – ولا يصح اقتداء القارئ بالأمي
উম্মির(অর্থাৎ যার কেরাত অশুদ্ধ) পিছনে ক্বারীর(অর্থাৎ যার ক্বিরাত বিশুদ্ধ) ইকতিদা সহীহ নেই। ফাতাওয়া শামী- ২/৩২৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৪৩-১৪৪, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া-২/২৫৬
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 581):
"(و) لا (غير الألثغ به) أي بالألثغ (على الأصح) كما في البحر عن المجتبى، وحرر الحلبي وابن الشحنة أنه بعد بذل جهده دائماً حتماً كالأمي، فلايؤم إلا مثله
সারমর্মঃ
যে ব্যাক্তি কিরাআত শুদ্ধ পড়ার উপর শক্তি রাখেনা,সে কিরাআত শুদ্ধ পাঠ কারীর ইমাম হতে পারবেনা।
তবে তার মতো ব্যাক্তিদের ইমাম হতে পারবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
সেই সময় যদি সেই মসজিদে আপনার থেকে উত্তম নামাজ পড়ানে ওয়ালা,উত্তম কিরাআত ওয়ালা ব্যাক্তি না পাওয়া যায়,তাহলে আপনার ইমামত জায়েজ আছে।
তবে কোনো ভালো কিরাআত পাঠ কারী এসে গেলে ইক্তেদা করলে সে তার নামাজ পুনরায় আদায় করে নিবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/২৭০.ইমদাদুল ফাতওয়া ১/৪০৬.ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ২/২২৪.ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ৯/৬০)
ঐ মসজিদে আপনি যেই নামাজ গুলি পড়িয়েছিলেন,সেই নামাজ গুলোর সাধারণত যারা মুক্তাদি থাকে,এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে জেনে নিবেন যে তাদের মধ্যে কেউ কুরআন শুদ্ধ পাঠ কারী আছে কিনা?
যদি তাদের মধ্যে কেউ কুরআন শুদ্ধ পাঠ কারী না থাকে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
প্রশ্নে উল্লেখিত সকলের নামাজ হয়ে গিয়েছে।
,
আর যদি কোনো কুরআন শুদ্ধ পাঠ কারী থাকে,তাহলে তাকে পুনরায় ঐ দুই ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে নিতে বলবেন।
,
(০৪)
এক্ষেত্রে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
,
(০৫)
দশ বছর বয়স হলে তাকে আলাদা করে দেওয়া জরুরী।
পৃথক বিছানা সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আমর বিন শুয়াইব তার সুত্রে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣُﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻛُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﺳَﺒْﻊِ ﺳِﻨِﻴﻦَ ، ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﻋَﺸْﺮٍ ، ﻭَﻓَﺮِّﻗُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻀَﺎﺟِﻊِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সপ্ত বর্ষে উপনীত হয়।নামায না পড়ার ধরুণ তাদেরকে প্রহার করো যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হয়।এবং সাথে সাথে তাদের শয়নস্থল কে পৃথক করে দাও।(সুনানু আবি-দাউদ-৪১৮)