আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
209 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (53 points)
কারো নামে গীবত করে ফেললে তার কাছে ক্ষমা চাইলে গীবতের গুনাহ মাফ হয়ে যায় বলে জানি। এক্ষেত্রে অন্য ধর্মাবলম্বীদের নামে গীবত করলে তাদের কাছে গিয়েও মাফ চাইতে হবে? আর কারো কাছে মাফ চাওয়ার পর সে মুখোমুখি বলল মাফ করেছে কিন্তু মন থেকে মাফ করে নি,,,এক্ষেত্রে কি করনীয় হতে পারে??

1 Answer

0 votes
by (711,880 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভূমিকা
মুসলমানদের চরিত্র এমন হতে পারবে না যে,তাদের কথাবার্তায় অনর্থকতা ও অশ্লীলতা থাকবে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الفَاحِشِوَلاَ البَذِيءِ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,মু'মিন কখনো দোষ বর্ণনাকারী, লা'নতকারী,অশালীন বাক্যালাপকারী এবং বেহায়া হতে পারে না।(সুনানু তিরমিযি-১৯৭৭)
সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের জন্য উচিৎ সকল প্রকার মন্দ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।এবং এর ধারেকাছেও না ঘেষা।কেননা যে ব্যক্তি সীমান্তরেখা বরাবর হাটবে,তার জন্য আশংকা থাকে যে সে সীমান্তরেখা পার হয়ে বিপথগামী হবে।

কাফিরের সমালোচনা, গিবত যদি তার সৃষ্টিগত কোনো জিনিষ নিয়ে হয়,তাহলে সেটা নিষিদ্ধ। কেননা তখন সেটা আল্লাহর সৃষ্টিতত্ত্বে বিদ্রূপ করা হবে।তবে যদি তার চারিত্রিক কোনো বাজে দিক নিয়ে আলোচনা হয়,তাহলে সেটার অনুমোদন অবশ্যই রয়েছে।আরো জানুন-১৭১৫

ুযিম্মি কাফিরের গিবত নাজায়েয তবে হারবী তথা যুদ্ধগ্রস্থ কাফিরের গীবত জায়েয।


এ বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের কিছু ব্যখ্যা রয়েছে-
قال زكريا الأنصاري : " وَغِيبَةُ الْكَافِرِ مُحَرَّمَةٌ إنْ كَانَ ذِمِّيًّا ; لأَنَّ فِيهَا تَنْفِيرًا لَهُمْ عَنْ قَبُولِ الْجِزْيَةِ وَتَرْكًا لِوَفَاءِ الذِّمَّةِ وَلِقَوْلِهِ صلى الله عليه وسلم : ( مَنْ سَمَّعَ ذِمِّيًّا وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ ) رَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ وَمُبَاحَةٌ إنْ كَانَ حَرْبِيًّا ; لأَنَّهُ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ حَسَّانَ أَنْ يَهْجُوَ الْمُشْرِكِينَ " أ . هـ أسنى المطالب مع حاشيته ج3 ص116

وقال أحمد ابن حجر بن الهيتمي في الزواجر عن اقتراف الكبائر ج2 ص27 : " وَسُئِلَ الْغَزَالِيُّ فِي فَتَاوِيهِ عَنْ غِيبَةِ الْكَافِرِ . فَقَالَ : هِيَ فِي حَقِّ الْمُسْلِمِ مَحْذُورَةٌ لِثَلاثِ عِلَلٍ : الإِيذَاءُ وَتَنْقِيصُ خَلْقِ اللَّهِ , فَإِنَّ اللَّهَ خَالِقٌ لأَفْعَالِ الْعِبَادِ , وَتَضْيِيعُ الْوَقْتِ بِمَا لا يُعْنِي . قَالَ : وَالأُولَى تَقْتَضِي التَّحْرِيمُ , وَالثَّانِيَةُ الْكَرَاهَةُ , وَالثَّالِثَةُ خِلافُ الأَوْلَى . وَأَمَّا الذِّمِّيُّ فَكَالْمُسْلِمِ فِيمَا يَرْجِعُ إلَى الْمَنْعِ مِنْ الإِيذَاءِ , ; لأَنَّ الشَّرْعَ عَصَمَ عِرْضَهُ وَدَمَهُ وَمَالَهُ . قَالَ فِي الْخَادِمِ : وَالأُولَى هِيَ الصَّوَابُ . وَقَدْ رَوَى ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ :  مَنْ سَمَّعَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا فَلَهُ النَّارُ  , وَمَعْنَى سَمَّعَهُ أَسْمَعَهُ بِمَا يُؤْذِيهِ , وَلا كَلامَ بَعْدَ هَذَا أَيْ لِظُهُورِ دَلالَتِهِ عَلَى الْحُرْمَةِ . قَالَ الْغَزَالِيُّ : وَأَمَّا الْحَرْبِيُّ فَلَيْسَ بِمُحَرَّمٍ عَلَى الأُولَى وَيُكْرَهُ عَلَى الثَّانِيَةِ وَالثَّالِثَةِ , وَأَمَّا الْمُبْتَدِعُ فَإِنْ كَفَرَ فَكَالْحَرْبِيِّ وَإِلا فَكَالْمُسْلِمِ , وَأَمَّا ذِكْرُهُ بِبِدْعَتِهِ فَلَيْسَ مَكْرُوهًا . وَقَالَ ابْنُ الْمُنْذِرِ فِي قَوْلِهِ صلى الله عليه وسلم :  ذِكْرُك أَخَاك بِمَا يَكْرَهُ  فِيهِ  دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ مَنْ لَيْسَ أَخَاك مِنْ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى أَوْ سَائِرِ أَهْلِ الْمِلَلِ , أَوْ مَنْ أَخْرَجَتْهُ بِدْعَةٌ ابْتَدَعَهَا إلَى غَيْرِ دِينِ الإِسْلامِ لا غِيبَةَ 
لَهُ " . انْتَهَى

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কোনো যিম্মির কেউ কখনো গীবত করে ,তাহলে তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।আর হারবী কাফিরের গীবত করলে ,ক্ষমা চাইতে হবে না।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...