উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কোনো মুরতাদ ব্যাক্তি যদি ইসলাম গ্রহন করতে চায়,
★তাহলে তাকে প্রথমেই কালেমায়ে শাহাদাত পড়তে হবে।
أشهد أن لا إله الا الله وأشهد أن محمدا عبده ورسوله
,
অর্থাৎ তাকে প বলতে হবে যে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ, মাবুদ নেই,আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তায়ালার বান্দা এবং তার রাসুল।
★অতঃপর ইসলাম ব্যতিত অন্য ধর্ম বাতিল বলে তাকে ফিরে আসতে হবে।
★অতঃপর তাকে তওবা করতে হবে যে আমার পূর্বের যাবতীয় কর্মকান্ড থেকে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করিতেছি।
আমি লজ্জিত অনুতপ্ত, আমি আর কোনো দিন এহেন কাজ করিবোনা,এহেন বিশ্বাস স্থাপন করিবোনা।
(তারপর থেকে ইসলাম ধর্মের যাবতীয় বিধান তাকে মনেপ্রানে,কাজেকর্মে মানতে হবে।)
,
এর পর থেকে তাকে মুসলমান হিসেবে গন্য করা হবে।
(ফাতাওয়ায়ে খতমে নবুয়্যত ১/৩০০)
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছেঃ
واسلامه أي المرتد أن يأتي بكلمة الشهادة ويتبرأ عن الأديان كلها سوي الإسلام وأن يتبرأ عما انتقل إليه
.
যার সারমর্ম হলো প্রথমেই মুরতাদ ব্যাক্তিকে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করতে হবে,তারপর ইসলাম ধর্মকে অন্যান্য ধর্মের উপর প্রাধান্য দিতে হবে,তারপর তাকে পূর্বের মতবিশ্বাস,কাজকর্ম থেকে ফিরে আসতে হবে।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ২/২৫৩ মাতবুয়ায়ে মাজিদাহ কোয়েটাহ)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যেইভাবে তওবা করেছে,এর মধ্যে যদি সে রাসুল সাঃ কে আল্লাহর রাসুল হিসেবে মানার বিষয় মুখ দিয়ে বলে,এবং মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে, তাহলে তাকে মুসলমান বলা যাবে,তার তওবা ছহীহ হবে।
,
والله أعلم بالصواب
.
উত্তর লিখনে
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ IOM