শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি তার স্ত্রীকে শর্ত দেয় সে যদি অমুকের সাথে কথা বলে,তাহলে সে তাকে তালাক দিবে,
এ কথা বলার দ্বারা শর্ত পাওয়া গেলেও তালাক পতিত হবে না।
কারণ, ভবিষ্যতের দিকে তালাকের সম্বন্ধ করলে তালাক পতিত হয় না।
এগুলো ওয়াদা মূলক কথা মাত্র,এতে তালাক পতিত হয়না।
(রদ্দুল মুহতার ৪/২৭৪; হেদায়াহ ১/২৮০।)
উল্লেখ্য, তালাক একটি নিকৃষ্ট কাজ। প্রয়োজনের কারণেই তা কেবল বৈধ হয়।
তালাক নিয়ে দুষ্টামি করা কিংবা ভয় দেখানো কোনো অবস্থাতেই উচিৎ নয়।
হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
انا اطلق نفسی لم یقع لا نھا وعد (الدر المختار علی ہامش رد المحتار باب التفویض ج ۔ ۲ ص ۶۵۷ط۔س۔ج۳ص۳۱۹) ظفیر۔
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামী যদি এহেন বাক্য বলে,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।