আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
516 views
in পবিত্রতা (Purity) by (75 points)
edited by
১/ছোট বা বড় বালেগ/ নাবালেগ বোনের লজ্জাস্থান দেখলে কী কোনো সমস্যা হয় বাবা মার বিয়েতে বা অন্য কারোর বিয়েতে

২/ ছোট বা বড় বালেগ/নাবালেগ বোনের লজ্জাস্থান দেখে উত্তেজনা, কামভাব হলে কী তাদের কোনো বিধান কার্যকর হয়

৩/ ছোট বা বড় বালেগ/নাবালেগ বোনের লজ্জাস্থনের ভিতরে চোখ গেলে/স্পর্শ করলে লজ্জাস্থানের যেকোন জায়গায় গেলে কী কোবো বিধা হয়।বাবা মার বিয়েতে সমস্যা হয়

৪/ এমন কোনো কাজ আছে কী যা ছোট/বড় বালেগ/নাবালেগ বোনের সাথে করলে বাবা মার বিয়েতে বা কোনো সমস্যা হয়।
৫/ ৪ নং এর বিষয়টি কী অন্য আত্নীয়দের বিবাহও সমস্যা হতে পারে কী

৫/ আমার ছোট /বড় বালেগ/নাবালেগ বোনের স্তনে  হাত দিলে কী কোনো কিছু বিধান হবে।এটা যদি মায়ের সাথে হয়।আমি ছেলে।

৬/ আমার মা /ছোটবা বড় বোন বালেগ /নাবালেগ বোনের যেকোন অংগে হাত পা বা যেকোন আমার অংগ লাগলে কোনো সমস্যা হবে।বা কোনো বিধান হবে।আমি ছেলে।

৭/ ছোট/বড় বালেগ/নাবালেগ বোনের পাছায় লাথি ৃারলে কী কিছু হয়।বড় ভাই মারলে

৮/ স্টিল/প্লাস্টিক/যেকোন ধরনের বাটিতে যেকোন  চামচ দিয়ে বারি দিলে কী কিছু হয়

9/AMI amar co to boner stoner aktu upore kiss kori.ata kono somossa hobe

১০/ কেউ প্রশ্ন কোন গামছা।আমি উত্তর দিলাম পুটকি মুছার গামছা।এতে কী পিতা মাতা বা অন্য কাটো বিবাহে সমস্যা হবে।বা কোনো নতুন বিধান হবে আমার

১১/ ময়ের সাথে তুই শব্দ ব্যনহার করলে কী বাবা মার বিবাহে সমস্যা বা অন্য কোনো সমস্যা হবে।

উপরের সবগুলো আমার সাথে হয়েছে।আমি ছেলে

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


★শরীয়তের  বিধান মতে, নিজ কন্যার সাথে যিনা করলে বা কামভাব নিয়ে উত্তেজনার সাথে আবরণ ছাড়া স্পর্শ করলে নিজ স্ত্রী তথা ওই মেয়ের মায়ের সাথে স্পর্শকারীর বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় এবং স্ত্রী তার জন্যে চিরতরে হারাম হয়ে যায়।

★একই কাজ যদি সন্তানের দিক থেকে হয় তবুও পিতা মাতার বিবাহ ভেঙ্গে পরস্পর চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। কাজেই মা-কে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পুত্র, এবং বাবাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে কন্যার খুব সতর্কতা আবশ্যক।

★উপরোক্ত দুটি মাসআলার মতই শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূ এবং শাশুড়ি কর্তৃক জামাইকে স্পর্শ করার বিধান। অর্থাৎ শর্তগুলি পাওয়া গেলে স্বামী স্ত্রী পরস্পর হারাম হয়ে যাবে।

★যদি কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় অথবা কামভাব নিয়ে আবরণহীন তাকে স্পর্শ করে অথবা কামভাব সহকারে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে তাকায় অথবা নারী পুরুষের লজ্জাস্থানে তাকায় তাহলে ঐ পুরুষের জন্য ওই মহিলার মা এবং মেয়ে সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়। আর যদি সেই ব্যক্তি পূর্ব থেকেই ঐ মহিলার মেয়েকে বিবাহ করে থাকে, তাহলে তার সেই স্ত্রী চিরতরের জন্য হারাম হয়ে যাবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عن عمران بن الحصین في الرجل یقع علی أم امرأتہ، قال: تحرم علیہ امرأتہ۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۲۶ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তি যদি তার স্ত্রীর মায়ের সাথে সহবাস করে,তাহলে তার উপর তার স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে।

عن أبي ہانيء رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من نظر إلی فرج امرأۃٍ لم تحل لہ أمہا ولا ابنتہا۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۲۹ بیروت)

সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন,কেহ যদি কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে তার মা ও তার মেয়ে তার জন্য কোনো ভাবেই হালাল হবেনা,(তার মা ও তার মেয়েকে কোনো ভাবেই বিবাহ করা তার জন্য জায়েজ হবেনা।)
,
(১.২.৩.৪.৫)
উল্লেখিত ছুরত গুলোতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
বাবা মায়ের বিবাহে বা অন্য কাহারো বিবাহে কোনো সমস্যা হবেনা।

(৫.৬)
বোনের সাথে হলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
,
মায়ের সাথে হলে, মাঝে কোনো আবরন না থাকলে,  (বা আবরন থাকলেও তাহা এমন পাতলা হয়,যা দ্বারা শরীরের উষ্ণতা অনুভব হতে বাধা হয়না,আর আপনার ভিতর উত্তেজনা বশত স্পর্শ করার সাথে সাথেই লিঙ্গ পুরোপুরি দাড়িয়ে গেলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।
নতুবা হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
,
(০৭)
কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে বিনা কারনে তাকে আঘাত দিয়ে শাস্তি দেওয়ার গুনাহ হবে।

(০৮)
কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০৯)
কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে বালেগাহ বা তার নিকটতম বয়সী বোন হলে বা সে ছোট হলেও আপনার মনে খারাপ ভাবনা হলে এতে কবিরা গুনাহ হবে।
,
(১০)
এতে বাবা মার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...