জবাবঃ-
(১)যখনই সে অমুসলিম হওয়ার নিয়ত করেছিলো,তখনই সে কাফির হয়ে যায়।অমুসলিম হওয়ার জন্য আনুষ্টানিকতার কোনো প্রয়োজন নেই।বরং নিয়ত করলেই যে কেউ অমুসলিম হয়ে যাবে।আল-ইয়াযু বিল্লাহ(আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুক।আমীন)
(২)
সে এত বড় অন্যায় ও জগন্য কাজ করতে যাচ্ছিলো যে,ইসলামী রাষ্ট্রের হাকীমের উপর ওয়াজিব ছিলো তাকে হত্যা করা।কেননা মুরতাদের শাস্তি হলো একমত্র হত্যা, যদি সে ফিরে না আসে।
তাকে জীবনের সকল প্রকার গোনাহ বিশেষকরে মুরতাদ হওয়ার গোনাহ থেকে তাওবাহ করতে হবে।এবং আবার এক আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উপর বিশ্বাস আনতে হবে।কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ পড়তে হবে।
(৩)
মুরতাদ হওয়ার পর যদি কেউ মুসলমান হয়,তাহলে মুরতাদ থাকাবস্থায় যে সমস্ত নামায রোযা ছুটেছে,সেগুলোর কোনো কা'যা লাগবে না।বরং মুরতাদ হওয়ার জন্য উনাকে সারা জীবন তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে।
ذهب الحنفية والمالكية إلى عدم وجوب قضاء الصلاة التي تركها أثناء ردته؛ لأنه كان كافرا، وإيمانه يجبها
হানাফি এবং শা'ফেয়ী মাযহাব মতে মুরতাদ থাকাবস্থার নামায রোযা কা'যা করতে হবে না।কেননা তখন সে কাফির ছিলো।আর নামায রোযাকে মূলত ঈমানই ওয়াজিব করে থাকে।
(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২২/২০০)
তবে মুরতাদ হওয়ার পূর্বে মুসলমান থাকাবস্থায় যদি কোনো নামায রোযা কা'বা থাকে,তাহলে সেটাকে কা'যা করতে হবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।