বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/466 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
(খ)
নিষিদ্ধ শারীরিক পরিবর্তন
তা কয়েক ধাপে বিভক্ত।যেমনঃ
(১)
শারীরিক পরিবর্তন-পরিবর্ধনের যেসমস্ত পদ্ধতিতে কোরআন-হাদীসে নিষেধ এসেছে,তা সর্বদাই নিষিদ্ধ,তা নিষিদ্ধ হওয়ার কোনো কারণ খোজা যাবে না বরং তা সবসময়ই নিষিদ্ধ থাকবে।যেমনঃ
ভ্রু-কে চেঁছে সরু (প্লাক) করা,বা দেহাঙ্গে ট্যাটু অংকন করা ইত্যাদি।
এবং প্রত্যেক ঐ সমস্ত শারীরিক পরিবর্তন-পরিবর্ধন যা কোরআন-হাদীসে বর্ণিত তা বিনা দ্বিধায় জায়েয।যেমনঃখৎনা করা,নক কাটা,নাভীর নীচ পরিস্কার করা,ইত্যাদি।
(২)
ঐ সমস্ত শারীরিক পরিবর্তন-পরিবর্ধন যা শরয়ী দলীল দ্বারা সরাসরি প্রমাণিত নয়,
তা দু-প্রকার।
হয়তো তা বাস্তবিক পরিবর্তন হবে নতুবা বাহ্যিক পরিবর্তন হবে।
যদি তা বাস্তবিক পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয় তাহলে তাও উপরোক্ত দালিলিক চাহিদায় হারাম সাব্যস্ত হবে।যেমনঃ দাড়ী সেভ করা।
আর যদি বাহ্যিক পরিবর্তন হয়,কিন্ত দেখতে বাস্তবিক পরিবর্তন-ই মনে হয়,তাহলে তাও বাস্তবিক পরিবর্তনের ন্যায় হারাম হবে।
(৩)
শারীরিক পরিবর্তন-পরিবর্ধন বাহিরের কোনো জিনিষ দ্বারা শরীরের বহির্ভাগে হতে হবে,
সুতরাং যদি কোনো খাদ্য খাওয়ার দরুন অথবা হাটাচলা বা ব্যায়ামের ধরুন স্বাভাবিক নিয়মে শরীরে কোনো পরিবর্তন ও পরিবর্ধন ঘটে,
তাহলে তা নিষিদ্ধতার আওতাধীন হবে না। বিস্তারিত জানতে দেখুন- https://www.ifatwa.info/466
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামীর সামনে সুন্দর্য্য বর্ধনের জন্য ভ্রুকে কর্তন করা যাবে।তবে বিকৃত করে কর্তন করা যাবে না, বরং তা হারাম বলেই বিবেচিত হবে।