আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)

১।রাস্তায় কুকুর বা বিড়ালের পায়খানা ছিল।বৃষ্টির কারনে ঐ পারখানা হয়তো হালকা ভিজা ছিল।এখন ঐ পায়খানার উপর দিয়ে জুতা পায়ে হেঁটে গেলে কি জুতা নাপাক হবে?যদি পায়খানা জুতার সাথে না লেপ্টে।

আমি আবার জুতা মাটির সাথে ঘসেছি।আবার ভিজা পাক মাটির উপর দিয়ে কিছুদূর হেঁটেও গিয়েছি।

 

আমার জুতা কি এভাবে পাক হবে?নাকি পানি ঢেলে জুতার নিচ ধুতে হবে যেহেতু বৃষ্টির কারনে ঐ পারখানা হয়তো হালকা ভিজা ছিল।

 

২। দুই রাকাত বিশিষ্ট্য নামাযে তাশাহুদ,দুরুদ শরীফ বা দুয়া মাসূরা পড়ার সময় কোথাও আটকে গেলে ওইটা যদি আবার প্রথম থেকে পড়ি তাহলে কি সাহু সিজদাহ দিতে হবে?

 

৩।নামাযে সূরা ফাতিহার আগে যদি বিসমিল্লাহ বা আউয়ুযুবিল্লাহ দুইবার পড়ি তাহলে কি সাহু সিজদাহ দিতে হবে?

 

৪।রুকু সিজদার তাজবিহ কয়বার পড়তে হয়?এর কি সবনিম্ন পরিমাণ আছে?যা না পড়লে নামায হবে না।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
(১)
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس
প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন। এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে। তবে যদি  নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪)

নাজাসত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/118

আরো বর্ণিত রয়েছে,
২. ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪৩
৩. হেদায়া-১/৭৬
৪. আহসানুল ফাতওয়া-২/৮৩,১০১
৫. ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-৫/১২৮,২৭৩

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু জুতায় বিড়ালের পায়খানা লেগেছে,তাই জুতা নাপাক। যদি পরবর্তীতে মাঠির সাথে ঘর্ষণের দরুণ জুতা থেকে বিড়ালের পায়খানা এমনভাবে বিদূরিত হয় যে, তাতে আর কোনো চিহ্নই বাকী না থাকে, তাহলে জুতা পবিত্র হয়ে যাবে।নতুবা পবিত্র হবে না।

(২)
প্রথম বৈঠকে হলে সাহু সিজদা দিতে হবে।দ্বিতীয় বৈঠকে হলে লাগবে না 

(৩)
না, সাহু সিজদা দিতে হবে না।

(৪)
https://www.ifatwa.info/1401 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, 
নামাযের রু'কু এবং সেজদাতে তাসবীহ পাঠ সুন্নত।যদি কোনো কারণে কেউ তাসবীহ পাঠ করতে পারে না। তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না। তবে বিনা কারণে এমনটা করা মাকরুহ।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৫৮)

وَيَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: سُبْحَانَ رَبِّي الْعَظِيمِ ثَلَاثًا وَذَلِكَ أَدْنَاهُ فَلَوْ تَرَكَ التَّسْبِيحَ أَصْلًا أَوْ أَتَى بِهِ مَرَّةً وَاحِدَةً يَجُوزُ وَيُكْرَهُ 
মুসাল্লি রু'কু তে তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম বলবে।এবং এটা সর্বনিম্ন।তবে যদি কেউ তাসবীহ ছেড়ে দেয়,মূলত সে পড়ে না।অথবা একবার পড়ে নেয়,তাহলে সেটাও জায়েয আছে।তবে মাকরুহ হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭৪)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...