আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (75 points)

আসসালামুআলাইকুম,

 

১।নামাযে আত্তাহিয়াতু বা দুরুদ শরীফ পাঠের ক্ষেত্রে কোথাও আটকে গেলে যদি প্রথম থেকে পাঠ শুরু করি তাহলে কি নামাযে কোন সমস্যা হবে?

 

২।প্যান্ট বা টাউজারে কোথাও নাপাকি লাগলে,সেখানে মগ দিয়ে প্রচুর পানি ঢেলে ঐ জায়গা কচলিয়ে ধুয়ে ঐ কাপড়ে গোসল করলে কি কাপড় পাক হয়ে যাবে?

(আবার আমি প্যান্ট বা টাউজার পড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে তার ভিতর দিয়ে মগ দিয়ে কয়েকবার পানি ঢেলে দেই।যাতে নাপাকি জায়গা ধোয়ার সময় কোন ছিটা লাগলে তা পানির সাথে প্রবাহিত হয়ে চলে যায়। এভাবে পুরো টাউজার ভিজে যায়)

তারপর ওযু করে ঐ প্যান্ট বা টাউজার পরে গোসল করি ।

আমি গোসল শেষে আবার একবার প্যান্ট বা টাউজার পানিতে খোলিয়ে চিপড়িয়ে পানি ফেলে দেই।

এভাবে কি প্যান্ট বা টাউজার পবিত্র হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নামাজে প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قُلْنَا السَّلاَمُ عَلَى جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ وَفُلاَنٍ فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ اللهَ هُوَ السَّلاَمُ فَإِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ فَإِنَّكُمْ إِذَا قُلْتُمُوهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ. 

শাকীক ইবনু সালামাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাযি.) বলেন, আমরা যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পিছনে সালাত আদায় করতাম, তখন আমরা বলতাম, ‘‘আস্সালামু আলা জিব্রীল ওয়া মিকাইল এবং আস্সালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান।’’ তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ আল্লাহ্ নিজেই তো সালাম, তাই যখন তোমরা কেউ সালাত আদায় করবে, তখন সে যেন বলে-

التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ

‘‘সকল মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ‘ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।’’ কেননা, যখন তোমরা এ বলবে তখন আসমান ও যমীনের আল্লাহর সকল নেক বান্দার নিকট পৌঁছে যাবে। এর সঙ্গে اَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মা‘বূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল)-ও পড়বে। (বুখারী শরীফ ৮৫৩, ১২০২, ৬২৩০, ৬২৬৫, ৬৩২৮, ৭৩৮১; মুসলিম ৪/১৬, হাঃ ৪০২, আহমাদ ৩৫৭৫)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৯৩)

,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,     
যদি প্রথম বৈঠকে তাশাহুদের ক্ষেত্রে এমনটি করা হয়,তাহলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
শেষ বৈঠকে পূর্ণ তাশাহুদ ২ বার পড়লেও সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা। 

দরুদ শরীফের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
কেননা এটি শেষ বৈঠকেই আদায় করা হয়।

المحيط البرهاني في الفقه النعماني (1/ 505):
"إذا كرر التشهد في القعدة الأولى فعليه سجود السهو، وإن كررها في القعدة الثانية فلا".
সারমর্মঃ
যদি কেউ ১ম বৈঠকে তাশাহুদকে দুইবার পড়ে নেয়,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু আবশ্যক ।
যদি কেউ দ্বিতীয়/শেষ বৈঠকে তাশাহুদকে দুইবার পড়ে নেয়,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু আসবে না।

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,

ولو كرره في القعدة الثانية فلا سهو عليه، كذا في التبيين.

যদি কেউ দ্বিতীয়/শেষ বৈঠকে তাশাহুদকে দুইবার পড়ে নেয়,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু আসবে না।(১/১২৭)
,
(০২)
প্রচুর পানি ঢালার ক্ষেত্রে যদি তিনবারের মতো কচলানো হয়,সর্বশেষ পুরোপুরি নিংড়ানো হয়,
আর নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...