আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
732 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)
আস সালামুয়ালিকুম,

 আমার সমস্যাটা অনেক জটি। ৩+ বছর দরে আমাকে এটা ভোগা। কখনো শান্তি পাই। তাই বিস্তারিত ভেঙ্গে বলার প্রয়োজন বোধ করতেছি। আমি অনেক ছোট বেলা থেকে পরন আসক্ত ছিলা। যাইহোক ক্লাস নাইনে উঠার পর থেকে ধর্মীয় দিক থেকে একটু মনোযোগী হই এবং নামাজ পড়া শুরু করি।1/2 বছর পর আমি ইসলামী পলিটিকাল একটি গ্রুপের সাথে সংযুক্ত হয়ে যাই। কিছুন এভাবে যাওয়ার পর তারপর আমি ওই গ্রুপের সাথে থাকা অবস্থায় আবার পরন(অশ্লীল ভিডিও) আসক্তিতে ডুবে পরি।

ওই সময় থেকে অনেকটা একাকীত্ব বোধ অনুভব করতে শুরু করি এবং নিজেকে একা রাকতে ভালবাসি পড়ালেখা কিছুতেই মন বস্তনা কোচিং একদিন গেলে দুদিন যেতাম না।সবসময় মানুষের কোলাহল থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতাম।এরপর থেকে যেখানেই জাই না কেন  লাগতো যে মানুষ আমাকে ইনসাল্ট করতেছে আমাকে গালি দিচ্ছে,আমার সম্বন্ধে বিভিন্ন মন্তব্য করতেছে।হঠাৎ একদিন আমার এক ছোট ভাই আমাকে এসে প্রস্তাব দিলেও যে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য।আপাতদৃষ্টিতে সবকিছু হবে মনে হচ্ছে।আমার দূরসম্পর্কের ওই ছোট ভাইয়ের মুখ্য উদ্দেশ্য কি তা গল্প শেষে জানতে পারবেন আপনি ভালো করে বোঝার জন্য আমি বিস্তারিত বলার প্রয়োজন বোধ করতেছি একটু ধৈর্য সহকারে গল্পটা শেষ পর্যন্ত পড়বেন সায়েখ।আচ্ছা সায়েখ বলেই ফেলি যে ওদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল যে আমাকে এই কথা বুঝানো যে ওরা আমার মনের কথা জানে( কালো জাদুর মাধ্যমে)  ওরা   ছিল ৫ জন ফ্রেন্ড ওর ফ্রেন্ড ছিল এবং আমি শুনছিলাম এক আমার এখানে কোন ফ্রেন্ড ছিল না! ওদের পুরো জার্নর  উদ্দেশ্য ছিল যে আমার মনের ভিতরে চিন্তাগুলো ঘুরতে সেগুলো নিয়ে কথাবার্তা বলা মানে এটা আমাকে বোঝানো যে ওরা আমার মনের কথা জানে।সব কিছু বলতে গেলে লেখাটা অনেক দৈর্ঘ্য  হয়ে যাবে তাই শর্টকাটে বলি ওরা অনেক ঘটনা তৈরি করেছে যে এটা বুঝানোর জন্য যে ওরা আমার মনের কথা জানে এবং তারা তা সফল হয়েছে কারন আমি যা কিছু চিন্তা করতেছিলাম  ওরা সব চিন্তা গুলো অন্যদের সাথে কথা বলতেছে। আমার ঐ ছোট ভাইটি ককক্সবাজার যাওয়ার আগের দিন আমার বাসায় এসে জিজ্ঞেস করল যে ভাই তোমার   কম্পিউটার এর  পাসওয়ার্ড টা আমাকে দাও।আমি ওকে বললাম আর কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড আমি তোমাকে দিব কেন?তারপর আমি ওকে লুকিয়ে পাসওয়ার্ডটা টাইপ করলাম।কিন্তু ও না দেখে পাসওয়ার্ড এর পেটার্ন টা বলে ফেলল।সায়েখ বলতে চাইলে অনেক কিছুই বলার আছে তো আমি শর্টকাটে বলতে চাচ্ছি এইটা আমার মাথার ভিতরে ঢুকে গেছে যে মানুষ আমার মনের কথা জেনে ফেলে এবং তা কিছু প্রাসনের মানুষের দ্বারা। অরা আমাকে ব্লাকমেজিক করছে এবং আমার আত্মীয়-স্বজন এবং জাদের সাথে মেলামেশা করি ওদেরকেও মনের কথা জানিয়ে দিচ্ছে এবং এটাই আমার অকাট্য বিশাশ হয়েগেছে  বর্তমানে।এখন আমার কাছে লাগে সবাই আমার মনের কথা জেনে ফেলে আমার আশেপাশের সবাই এবং আমার আম্মা ও জেনে ফেলেন।এই বিশ্বাস থেকে আমি কোনরকমে সরে আসতে পারতেছিনা।আমার কাছে যদি এর ঘটনা গুলো বা হেলুসিনেশন না ঘটতো  তো আমি কখনোই বিশ্বাস করতাম না যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ মনের কথা জানে কিন্তু এখন এইটা আমার ভিতর মানে খুবই সূক্ষ্ম ভাবে গেতে গেছে এখন আমি কি করব সায়েখ।আমার চলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে কোন কাজ ঠিকমতো করতে পারেনা ঘর থেকে স্বাধীনভাবে বের হতে পারি না যেখানেই যাই না কেন এখানেই আমাকে লাগে মানুষ আমার মনের কথা নিয়ে আমাকে গালি দিচ্ছে।হাসি তামাশা করতেছেসবচেয়ে কষ্টকর বিষয় হচ্ছে আমি আমার ইবাদত টা ঠিক ভাবে করতে পারতেছিনা লাগে এবাদত এর মধ্যে শিরিক যুক্ত হয়ে যাচ্ছে রিয়া যুক্ত হয়ে যাচ্ছে।অনেকেই বলে আমি শিরিক করতেছি অনেকেই বলে আমায় তোমার মনের ভুল কিন্তু আমার মনের সাথে যুদ্ধ করে আমি পেরে উঠতে পারতেছি না সায়েখ এখন আমি কি করবো আমি খুবই হতাশাগ্রস্ত হয়ে গেছি নামাজটা পড়ে আমার সন্দেহ লাগে নামাজটা কবুল হইলো কিনা কারণ আমাদের মধ্যে অনেক চিন্তা আসলে আমি ওগুলো সরিয়ে দেই।সবকিছুর সঙ্গে মোটামুটি খাপ খেয়ে ফেলেছি তবে সায়েখ নামাজের ক্ষেত্রে আমার পাশে যে তাকে ওকে নিয়ে গালাগালি আসে। ওর আব্বা আম্মা কে নিয়ে গালি আসে। আমার মাতায় বিভিন্ন নোংরা চিন্তা গুলো আসে ওগুলো আমি লজ্জা পেয়ে মাথা থেকে সরিয়ে ফেলি। এজন্য কি আমার রিয়া হবে? আমি ওকে দেখানোর জন্য বা অর কাছে ভালো সাজার জন্য কিছু করি না লজ্জা লাগে এই জন্যকরি। এখন আমি কি করব সায়েখ? যা দেখি সবই বাস্তব মনে হয়। আমার মস্তিষ্ক আমার কন্ট্রোলে না। অসুস্থতার কারণে এরকম হচ্ছে এখন আমার কি করা উচিত অনেককে জিজ্ঞেস করছি অনেকে বলে শিরক কিন্তু আমি সেটা জানার পরও আমি তার থেকে সরে আসতে পারতেছিনা ওই আগের মত চিন্তা চলে আসে মাথার মধ্যে।আমি অসুস্থতা শুরু থেকেই ডাক্তার দেখাচ্ছি। প্রায় তিন বছর মেডিকেশনের আন্ডারে আছি। তো উন্নতি মানে আমার অনেক বাধ চিন্তা মাথার মধ্যে দূর হয়েছে এবং যেকোন কাজ মনোযোগ দিয়ে করতে পারতেছি একা থাকলে করতে পারি তবে কোলাহলে গেলে কিংবা মানুষের ভিড়ে গেলে তা পারি না। ডাক্তার আমাকে বলে এটা সিজোফ্রেনিয়া আমিও দুইবার রুকিয়া করেছিলাম তাও কোন সলিউশন পাই নাই।কিছুদিন আগে যেটা স্বপ্ন দেখছিলাম সেটা আমি বলার প্রয়োজন বোধ করতেছি কারণ ওইখানে দেখছিলাম একজন সায়েখ  আমার মাথার কোরআনের আয়াত পরে জার ফক করতেছিলেন তকন দেখি এক কাল বিরাল বা কুকুর হবে আমিযে রুমে ছিলাম অখান তেকে দউর দিয়া পালিয়ে গেছে।পরেরটি তে আমি দেখছিলাম যে আমি এক জায়গায় যাচ্ছি রুকিয়া করানোর জন্য তো মনে মনে স্থির করেছি যে ওইখানে যদি আমি ফায়দা না পাই তাহলে আরেকজন রাকির নাম শুনেছি উনার কাছে যাব ঢাকায়।আমি স্বপ্ন দেখি যে আমি ওই রাকির কাছে গেছি এবং উনি বলতেছেন তোমাকে ব্লাকমেজিক করা হয়েছে।

সম্মানিত সায়েখ আমার বিষয়টা একটু গুরুত্ব সহকারে দেখিয়েন দয়া করে।  বাহ্যিক দিক থেকে আমি ভালো থাকলেও মনে মনে একদম পুড়ে যাচ্ছি সায়েখ।

আস সালামুয়ালাইকুম সায়েখ।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃঃ  আমার এই বিষয়টা যত কম মানুষ জানবে তত বেশি ভালো হয়

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
কারো মনের খবর আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না।এবং জানতে পারবেও না।অন্য কেউ জানতে পরেছে বা জেনে গেছে ভেবে আপনি শুধু শুধু নিজেকে অশান্ত করতেছেন।
আপনার মন অশান্তিতে আছে।এ জন্য আপনি নিয়মিত ধারাবাহিক আল্লাহর যিকির করতে থাকুন-দেখবেন মন শান্ত হবে।
الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।(সূরা রা'দ-২৮)

সব নেতিবাচক ধারণাকে পরিহার করুন।এবং একজন আল্লাহ ওয়ালা বুজুর্গের সহচরী হোন।মাদানি সিলসিলা বা থানভী সিলসিলার কারো খেদমতে হাজির হওয়ার চেষ্টা করুন।এবং সেখানে দীর্ঘদিন থাকার চেষ্টা করুন।বুজুর্গের কাছে সবকিছু খুলে বলবেন।

জাযাকুমুল্লাহ।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।

উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...