আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
469 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)

শায়েখ আমার প্রশ্ন হলো ঃ 

১ঃ আমরা যে লিখার সময় আরবী শব্দগুলো যেমন সালাম, আল্লাহর প্রশংসা সূচক বাক্য বাংলায়/ইংরেজিতে  লিখি এভাবে লিখা কতটুক সঠিক কারন যেমন সালামের ক্ষেত্রে আরবি হরফ এর সব উচ্চারণ লিখা যায় না আবার কোন শব্দের মাঝে হরফে এক আলিফ বা চার আলিফ টানও থাকে। ইদানিং ফেসবুক অথবা ইউটিউবে অনেকে কমেন্ট লিখে যেখানে ইংরেজি অথবা বাংলায় লিখে অনেক সময় বানান অনেক ভুল দেখা যায় যেমন  "আসতাগফিরুল্লাহ" শব্দটি "আসতাকফিরুল্লাহ" (আল্লাহ মাফ করুন আমাদের) লিখা দেখলাম পরে আমি উনাকে বলেছি যে উনার লিখাটা ভুল (আল্লাহ ভালো জানেন। উনি কেন এভাবে টাইপ করেছেন) এমন অনেক হয়। আসলে কি করা উচিত এমন ভুল দেখলে যদি আমি সবসময় না বলি কারন পরিচিত হলে বলা যায়, আমার কি গুনাহ হবে? আর যে লিখছে তার কি গুনাহ হবে যদি ইচ্ছা করে না লিখে  বা না জানার কারণে বা টাইপের ভুলের হয়  কারন অনেক সময় ত অর্থের পরিবর্তন হয় যা আমরা ঠিক মত জানি না তার ক্ষেত্রে হুকুম কি? আর এইধরনের শব্দ গুলো আরবী অথবা ইংরেজিতে কিভাবে লিখা উচিত?? 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আরবী শব্দ ইচ্ছারণকে ভিন্ন ভাষায় পড়া ও লিখার জন্য মূলত এ সম্পর্কে অভিজ্ঞদের একটি জামাত হওয়া চাই।যারা নির্ধারণ করে দিবেন, কিভাবে এগুলো লিখতে হয়। উচ্ছারণ করতে হয়।

প্রত্যেক ভাষার কিছু লোককে দায়িত্ব নিতে হবে।

যাই হোক বাংলা একাডেমিতে আরবী বিশেষজ্ঞ কিছু লোক থাকা চাই, যারা আরবী ভাষাকে বাংলায়ন করবেন।

যথাসম্ভব উচ্ছারণ বিশুদ্ধ থাকা চাই। কারো সামনে এভাবে ভুল উচ্ছারণ হতে দেখলে, সে যেন সঠিকটা বলে দেয়। তবে না বললে যে গোনাহ হবে,বিষয়টা এমন নয়। বরং গোনাহ হবে না।


ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...