আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
350 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (47 points)
আসসালামু ওয়ালাইকুম শায়েখ।
১)মানুষ ও জ্বীন ছাড়া তো অন্য কিছুর জান্নাত জাহান্নাম যেতে হবে না। আমাদের কেয়েমতের দিন হিসাব, জাহান্নাম, কিংবা কবরের আজাবের ভয় রয়েছে। কেউ যদি মনে করে সে দুনিয়ায় না আসলেই ভাল হতো, কিংবা ফেরেশতা হয়ে জন্মালে ভাল হতো। মানুষ তো নিজের ইচ্ছায় দুনিয়ায় আসে নাই। তাহলে মানুষের উপর হিসাব নিকাশ কেন নেয়া হবে? আর আল্লাহ তা'য়ালা কি প্রত্যেক সৃষ্টিকে কি জিজ্ঞেস করেছিলেন সে কি হিসেবে জন্ম নিতে চায় - মানুষ না জ্বীন না ফেরেশতা এবং আমরা দুনিয়ায় এলাম কেন? আমার তো অস্তিত্ব ছিল না।এখানে এসে আমাকে জোড় করে এই পরীক্ষার মধ্যে যেতে হচ্ছে। তাহলে তো না এলেই ভাল হতো দুনিয়ায়।

সে ধার্মিক এবং নামাজ কালাম ও পড়ে। কিন্তু সে বিভিন্ন জায়গায় এই সংশয় মুলক জিনিস গুলো পড়ে তার মাথায় এই চিন্তা গুলো ঘুরপাক খাচ্ছে।  দয়া করে উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
২)আর তার এই ধরণের চিন্তার কারণে তার ইমানের কি সমস্যা হবে?
জাযাকাল্লাহ খায়রান।

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
আমরা নিজের ইচ্ছায় দুনিয়ায় আসিনি,দুনিয়ায়া আসাত ইচ্ছাও পোষন করিনি।
আমাদের ইচ্ছাতে আমাদের সৃষ্টি হয়নি।
আল্লাহ তায়ালা চাইলে অনস্তিত্বেই রেখে দিতেন,কোনো প্রানী বা জড় বস্তু হিসেবেও সৃষ্টিই করতেননা।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের আশরাফুল মাখলুকাতের অন্তর্ভুক্ত করেছেন,কোটি কোটি নিয়ামত দ্বারা ভরপুর রেখেছেন,অবশ্যই মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে।
,
কোটি কোটি নিয়ামত ভোগ করার পর এহেন প্রশ্ন তোলা কোনো ভাবেই ঠিক নয়।
আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি কোনো প্রশ্ন না তুলে ইবাদত বান্দেগী করে কবরে গেলে আল্লাহ তায়ালা এমন জান্নাত আমাদের দিবেন,যাহা আমাদের চক্ষু,কান কোনো কিছুই কল্পনাও করেনি।
,

(০২)
না,প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈমান চলে যাবেনা।
,
তবে মহান আল্লাহ তায়ালার কোনো ফরজ বিধানকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলে,ঘৃণা করলে ঈমান চলে যাবে।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
﴿قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥ لَا تَعۡتَذِرُواْ قَدۡ كَفَرۡتُم بَعۡدَ إِيمَٰنِكُمۡۚ ٦٦﴾ [التوبة: ٦٥، ٦٦]
“বলুন! তোমরা কি আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ এবং তাঁর রাসূলকে নিয়ে হাসি-তামাসা করছিলে? তোমরা এখন ওযর পেশ করো না। তোমরা তো ঈমান প্রকাশের পর কুফুরী করেছো।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬৫-৬৬]

শরহে আকাইদে নাসাফিয়্যাহ এর ব্যখ্যাগ্রন্থ নিবরাস গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

اهل القبلة فى اصطلاح المتكلمين من يصدق بضروريات الدين (الى قوله) فمن انكر شيئا من الضروريات (الى قوله) لم يكن من اهل القبلة، ولو كان مجاهد بالطاعات وكذالك من باشر شيئا من امارات التكذيب كسجدة الصنم ولاإهانة بامر شرعى والإستهزاء عليه فليس من اهل القبلة ان لا يكفر بارتكاب المعاصى ولا بانكار الامور الخفية غير المشهورة هذا ما حققه المحققون، 

আহলে কিবলা মুতাকাল্লিমীন তথা আক্বায়িদবীদতের পরিভাষায় ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যিনি দ্বীনের আবশ্যকীয় সকল বিষয়কে বিশ্বাস স্বীকার করেন। জরুরিয়্যাতে দ্বীন তথা দ্বীনের আবশ্যকীয় বিষয়ের কোন একটিকেও যদি অস্বিকার করে তাহলে সে আহলে কিবলা নয়। যদিও সে ইবাদত বন্দেগীতে খুবই তৎপর হয়। এমনিভাবে ঐ ব্যক্তি ও আহলে কিবলা নয়, যে কুফরী বা বাতিলের কোন একটি বিষয়ও করে থাকে, যেমন মুর্তিপূজা করা, অথবা শরয়ী কোন বিষয়কে ঠাট্টা করা, মজা করা, তাহলে এ ব্যক্তিও আহলে কিবলা নয়। আর আহলে কিবলাকে কাফির না বলার দ্বারা উদ্দেশ্য হল, গোনাহ করার কারণে কোন আহলে কিবলাকে কাফের বলা হবে না। সাথে এমন বিষয়কে অস্বিকার করলেও কাউকে কাফের বলা যাবে না যা জরূরিয়্যাতে দ্বীন তথা দ্বীনের আবশ্যকীয় বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত নয়। {নিবরাস} 

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...