বিসমিহি তা'আলা
ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
জবাবঃ-
১.
হুকুকে মুজাররাদাহ বা স্বত্বকে সংরক্ষণ করে রাখা জায়েয।যেমন কেউ কিছু আবিস্কার করল বা কোনো গ্রন্থ প্রকাশ করল।এ জাতীয় বিষয় সমূহের মালিকানাকে উন্মোক্ত না করে নিজের জন্য রেখে দেওয়া জায়েয।সুতরাং এ সমস্ত জিনিষ কে কপি করে প্রচার-প্রসার করা মানে উক্ত ব্যক্তির হক্ব-কে নষ্ট করা।অর্থাৎ কপি করে প্রচার প্রসার করা জায়েয হবে না।
সুতরাং সংরক্ষিত ঐ ভিডিও গুলো যদি -ফ্রি ডাউনলোড অফর- থাকা কালিন সময়ে তারা ডাউনলোড করে থাকে, তাহলে সেগুলো আপনি দেখতে পারবেন।কেননা যেহেতু তারা ঐ ভিডিওগুলোকে ফ্রি-তে দিয়ে দিয়েছে তাই অবশ্যই সেটার প্রচার প্রসারে তাদের কোন প্রকার বিধিনিষেধ থাকবে না।কেননা হয়তো তারা প্রচার প্রসারের উদ্দেশ্যেই এগুলোকে ফ্রি করে দিয়েছে।
আর যদি কেউ টাকা দিয়ে কিনে নিজে প্রথমে দেখে তারপর কম্পানির অনুমোদন ছাড়াই সেগুলোকে ভাইড়াল করে দেয় তাহলে এগুলো দেখা জায়েয হবে না।
আরো জানতে ক্লিক করুন-294
মাইক্রোসফট বিষয়ক একটি ফাতাওয়া আমাদের এখান থেকে দেয়া হয়েছে,সেটা বহুজাতিক ভিন্ন কারণে বিভিন্ন দারুল ইফতার ফাতাওয়ার অনুসরণে কিছু শর্তের মাধ্যমে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-196
২.
যদি ফ্রি অফার কালিন সময়ের ভিডিও না হয়ে থাকে তবে বান্দার হক্ব নষ্ট হয়েছে।এক্ষেত্রে মূলত বান্দার হক নষ্ট হয়েছে ঐ ব্যক্তির দ্বারা যে ঐ গুলোকে ভাইড়াল করেছে এবং আপনার নিকট পর্যন্ত পৌছিয়ে দিয়েছে।তারপর হয়তো আপনার।
আপনি ইস্তেগফার করুন।সম্ভব হলে ঐ ভিডিও এর বাজার মূল্য পরিমাণ টাকা তাদেরকে ফিরিয়ে দিন বা তাদেরকে খুশী করার চেষ্টা করুন।
৩. আপনি কাজ যেভাবেই শিখে থাকেন না কেন,এখন আপনি তো কাজের বিনিময়ে টাকা নিচ্ছেন।এখানে উপার্জন হারাম হবে কেন?হারাম হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।যেমন বিদেশে ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর রোজী-রোজগার এর মাস'আলা। মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থা থাকাটা জায়েয না তবে উপার্জন হারাম হবে না।
আল্লাহ তা'আলা ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.