আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in পবিত্রতা (Purity) by (42 points)

পাকা মেঝে বা ফ্লোর নাপাক হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তা পাক করার সহজ পদ্ধতি হল, নাপাক জায়গায় পানি ঢেলে ভালভাবে ঝাড়ু দিয়ে ধুয়ে দিবে এভাবে তিনবার ধুয়ে নিলে জায়গাটা পাক হয়ে যাবে । আর যদি পানি গড়িয়ে বের করার ব্যবস্থা না থাকে , তাহলে প্রথমে একটি শুকনো বা ভেজা কাপড় দিয়ে প্রস্রাবটুকু মুছে দিবে । অতঃপর কাপড়টি ভাল করে ধুয়ে নাপাক জায়গাটা আবার মুছে দিবে । এক্ষেত্রে প্রতি বারই নতুন পানি ব্যবহার করবে । এভাবে তিনবার পাক কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিলে জায়গাটা পাক হয়ে যাবে । উল্লেখ্য যে, নিচতলা এবং উপরতলার হুকুমের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ।

 

এখানে প্রথমে যে বলা হয়েছে ,পানি ঢেলে ভালভাবে ঝাড়ু দিয়ে ধুয়ে দিবে এভাবে তিনবার ধুয়ে নিলে জায়গাটা পাক হয়ে যাবে।

এখানে তিনবার ধুয়া বলতে কি বেশি পরিমাণ পানি ঢালা বুঝিয়েছে? 

দ্বিতীয়ত,নাপাক কাপড় বালতিতে ধুলে প্রত্যেকবার ধুয়ে চিপড়াতে হয়।এভাবে তিনবার ধুতে হয়।তাহলে যে  একটি শুকনো বা ভেজা কাপড় দিয়ে প্রস্রাবটুকু মুছে নিবে, তা আবার ভিজানোর জন্য কিভাবে ধুবে?   

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

পবিত্র করার পদ্ধতিঃ

পবিত্রকরণ এর দিক দিয়ে নাজাসত দুই প্রকারঃ যথা-

(ক) দৃশ্যমান নাজাসত

(খ)অদৃশ্যমান নাজাসত

 

(ক)

কাপড়ে প্রথম প্রকার তথা দৃশ্যমান নাজাসত লাগলে সেই নাজাসতকে  দূর করে দিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নাজাসত দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই।যতবার ধৌত করলে নাজাসত দূর হবে ততবারই ধৌত করতে হবে।যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায় তবে একবারই ধৌত করতে হবে।

 

(খ)

কাপড়ে দ্বিতীয় প্রকার তথা অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।

(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,

জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭)

 

বিঃদ্রঃ

নাজাসতকে ১০টি পদ্ধতিতে পবিত্র করা যায় যথা-

১/ধৌত করা,যেমন কাপড় ইত্যাদি।

২/মোছা, যেমন আয়না,তলোয়ার ইত্যাদি।

৩/টুকা দিয়ে নাজাসত দূর করা,যেমন গাড় বীর্য কে টুকা দিয়ে কাপড় থেকে দূরে সরিয়ে ফেলা,ইত্যাদি।

৪/ঘর্ষণ, মর্দন, যেমন শরীর বিশিষ্ট নাজাসত যাকে ঘর্ষণ-মর্দন করে দূর করা হলে তা পবিত্র হয়ে যায়,ইত্যাদি।

৫/শুকিয়ে নাজাসতের আসর দূর হয়ে যাওয়া,যেমন জমিন,গাছ ইত্যাদি শুকিয়ে পবিত্র হয়ে যায়,ইত্যাদি।

৬/জ্বালানো, যেমন গোবর ইত্যাদি জ্বলে ভস্ম হয়ে ছাই হয়, যা পবিত্র।ইত্যাদি।

৭/এক অবস্থা থেকে ভিন্নরূপ ধারণ করে পবিত্র হওয়া।যেমনঃ মদ থেকে সিরকায় পরিণত হওয়া যা কিনা পবিত্র।ইত্যাদি।

৮/দেবাগত,যেমন মানুষ এবং খিনযির ব্যতীত সকল প্রকার প্রাণীর চামড়া কে লবন মাখিয়ে রৌদ্রে রাখলে তা পবিত্র হয়ে যায়,ইত্যাদি।

৯/যবেহ, প্রাণীকে যবেহ করার মাধ্যমে উক্ত প্রাণীর চামড়া পবিত্র হয়ে যায়।যদি এমন প্রাণীও হয় যার গোস্ত ভক্ষণ করা হারাম,তবে তার চামড়াকে পবিত্র করে দেয়,ইত্যাদি।

১০/নরখ,তথা যদি কোনো কোঁপে নাজসত পড়ে যায় তাহলে উক্ত কোঁপের মুনাসিব পরিমাণ পানি বাহিরে নিক্ষেপ করলেই উক্ত কোপ পবিত্র হয়ে যায়।ইত্যাদি।

 

এই মোট দশ ভাবে কোনো অপবিত্র জিনিষকে পবিত্র করা যায়।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/118

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে একেবারে খুব বেশী নয় আবার একেবারে খুব কমও নয় বরং পরিমাণমত পানি ঢালার কথা বুঝিয়েছে। যেই পরিমাণ পানি ঢেলে ফ্লোর ধৌত করলে নাপাক পরিপূর্ণভাবে চলে যায়।

 

২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে একটি শুকনো বা ভেজা কাপড় দিয়ে প্রস্রাবটুকু মুছে নেওয়ার পর সেই শুকনো বা ভেজা কাপড়টি নাপাক কাপড়ের মতই ধৌত করবে অর্থাৎ বালতিতে তিনবার নতুন পানি নিয়ে ধৌত করবে এবং প্রত্যেকবার খুব ভালোভাবে নিংড়াবে। অত:পর আবার ঐ কাপড় দিয়ে নাপাক ফ্লোর মুছবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 143 views
0 votes
1 answer 162 views
...