আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
539 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম।

সম্মানিত মুফতি সাহেব,
আমি অনেক  আশা নিয়ে  প্রশ্ন  করেছি।আল্লাহর  ইচ্ছায়  এবার  উত্তর  পেয়ে নিশ্চয়ই আমার সব বিভ্রান্ত দূর হয়ে যাবে।
দয়া করে আমার প্রশ্নগুলো পড়ে উত্তর  দিয়েন।
দয়া করে।

১) আমার স্বামী  অত্যন্ত বদমেজাজি, রাগ কন্ট্রোলে রাখতে পারে না,খুব  ছোট  বিষয়  নিয়ে ও অনেক  রাগ করে ফেলে।
আবার কিছুক্ষন পরই রাগ পানি হয়ে যায়, তখম খুব  সুন্দর  ব্যবহার করে।
★আমার প্রশ্ন  হলোঃ
 আমার কোন বোকামিতে,তার কোন কথার  অবাধ্যতায়,তার কোন অপছন্দীয় কাজ করার কারনে সে যখন আমার উপর  রেগে  যায়,তখন বিভিন্ন  সময়  নিম্নোক্ত  বাক্যগুলে ব্যবহার করেঃ
"আমি তোমাকে দূর করে দিছি,তোমার সাথে  আমার কোন সম্পর্ক নাই,তোমার নিকট আমার কোন কাজ নাই,তুমি আমার নিকট হইতে পৃথক হয়ে যাও,তোমাকে পৃথক করে দিলাম,আমার ঘর হইতে চলে যাও,বাহির হও,যাও দূর হও,বাপ-মায়ের মাথায় গিয়ে চড়ো,নিজের বাড়ি  যাও,তোমার সাথে আমার বনিবনা হবে না।

তুমি নতুন  স্বামী খুঁজো,তোমাকে তো আমি আঁটকায়  রাখি নাই,তুমি তো স্বাধীন,আমাকে পছন্দ  না হলে চলে যাও,তখন আমাকে বইলো,যা করা লাগবে করে দিবো। "

সবসময়ই নিয়ত ছাড়া।রাগে বলে ফেলে,আমাকে ভয় দেখায়। ১০০% শিউর  আমার  সাথে ওর বিচ্ছেদ  হোক সে কখনোই  আল্লাহর  রহমতে  চায় না।
আমি তো বলছি,সে একটু  পরেই আবার নরম হয়ে যায়।

এখন  জনাব, আমি  জানতে চাই  যখন আমাদের  ঝগড়া  হয়,আমি কখনো এমন কথা বলি না-
" আমাকে তালাক দিয়ে দাও, ছেড়ে দাও,আমাকে ডিভোর্স  দিয়ে দাও,আমি চলে গেলাম,  ....... "।
শুধু  মাঝে  মাঝে  তার সাথে  একটু  তর্ক করি,অর্থাৎ অন্যান্য কথার মাধ্যমে  ঝগড়া  করি।অথবা  ও থেমে শান্ত  হয়ে গেলে আমি  শুরু  করি।

★★★উপরোক্ত  ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে  আমাদের  বৈবাহিক  সম্পর্ক  কি,ঠিক থাকে???

নাকি আমাদের  মাঝে  তালাক হয়ে  যায়??? আমার  স্বামী  কিন্তু তালাকের  নিয়তে এসব বলে না।

২) পূর্বের ফতোয়াতে আপনি উল্লেখ  করেছেনঃ স্ত্রী এমন কোনো বাক্য ব্যবহার করেছে,যেটি বিবাহ বিচ্ছেদ চায় বা এই জাতীয় কোনো বাক্য বলে,সেই মজলিসকেই তালাকের মজলিস বলে।

আমাকে এমন কতগুলো  বাক্যের উদাহরণ  দেন।

 দয়া করে।

তাহলে আমি ঐসব বাক্য জীবনেও মুখে  আনবো না,ইনশাআল্লাহ।

দয়া করে আমাকে সাহায্য  করেন।

★★★ আমি কেনায়া তালাক  সম্পর্কিত আপনাদের পূর্বের ফতোয়াগুলোর  দলিল সব দেখেছি,তাই আমাকে কোন দলিল দিতে হবে না,
শুধু  আমার ২ টা প্রশ্নের উত্তর  দিলেই  হবে।
আমার  কাছে  ২ টা প্রশ্নের উত্তরটাই যথেষ্ট  এবং আমার  জন্য  বুঝতে  সহজ হবে।
★আমরা হানাফি  মাযহাব  অনুসরণ  করি।

জাযাকাল্লাহ  খাইরান

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.

রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।

তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।

যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫

আরো জানুনঃ 
,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যগুলি বলার সময় আপনার স্বাৃমীর যদি আসলেই তালাক প্রদানের নিয়ত না থাকে,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
তবে তার অবশ্যই এহেন বাক্য বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
,
(০২)
এহেন কথা উভয়ের যেকোনো একজন থেকেই হতে পারে।
কোনো এক ঝগড়াঝাটির সময়,বা এমনিতেই যদি বলেন যে  " আমাকে তালাক দিয়ে দাও, ছেড়ে দাও,আমাকে ডিভোর্স  দিয়ে দাও,আমি তোমার কাছ থেকে চলে যেতে চাই,,,,
তাহলে এটি মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

বা স্বামী নিজেই বলে যে আমি তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাচ্ছি,করবো ইত্যাদি বলার সময়টিও মুযাকারায়ে তালাক হবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...