জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ভুলে যাওয়ার কারনে তারতিবের হুকুম সাকেত হয়ে যায়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/৩১৭)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ فَسَارَ لَيْلَةً حَتَّى إِذَا أَدْرَكَنَا الْكَرَى عَرَّسَ وَقَالَ لِبِلَالٍ " اكْلأْ لَنَا اللَّيْلَ " . قَالَ فَغَلَبَتْ بِلَالاً عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَلَمْ يَسْتَيْقِظِ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم وَلَا بِلَالٌ وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى إِذَا ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ فَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا فَفَزِعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا بِلَالُ " . فَقَالَ أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللهِ فَاقْتَادُوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا ثُمَّ تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم وَأَمَرَ بِلَالاً فَأَقَامَ لَهُمُ الصَّلَاةَ وَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ قَالَ " مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى قَالَ (أَقِمِ الصَّلَاةَ لِلذِّكْرَى) " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনের একরাতে বিরতিহীনভাবে সফর করতে থাকলে আমাদের ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। ফলে শেষ রাতে তিনি যাত্রা বিরতি করেন এবং বিলাল (রাঃ)-কে বলেনঃ তুমি জেগে থাকবে এবং রাতের দিকে লক্ষ্য রাখবে। কিন্তু বিলাল (রাঃ)-ও নিদ্রাকাতর হয়ে তার উটের সাথে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ফলশ্রুতিতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, বিলাল এবং তাঁর সাহাবীদের কারোরই ঘুম ভাঙ্গল না। অতঃপর সূর্যের তাপ তাদের গায়ে এসে পড়লে সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অস্থির হয়ে বললেনঃ কি হলো বিলাল! বিলাল বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! যে সত্তা আপনাকে অচেতন রেখেছেন, আমাকেও তিনিই অচেতন রেখেছেন। অতঃপর তারা নিজেদের বাহন নিয়ে কিছু দূর অগ্রসর হওয়ার পর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযু করলেন এবং বিলালকে নির্দেশ করলে বিলাল ইক্বামাত দিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকলকে নিয়ে ফজরের সলাত আদায় শেষে বললেনঃ কেউ সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই উক্ত সলাত আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘‘আমার স্মরণার্থে সলাত প্রতিষ্ঠা কর।’’ (সূরা ত্ব-হা ১৪)
(আবু দাউদ ৪৩৫)
یسقط الترتیب إذا نسي الفائتۃ وصلی ما ہو مرتب علیہا۔ (شامي ۲؍۵۲۶ زکریا)
সারমর্মঃ
যখন কাজা নামাজের কথা ভুলে যায়,তখন তারতিব সাকেত হয়ে যায়।
সে ধারাবাহিকভাবে নামাজ আদায় করবে।
في المجتبی: من جہل فریضۃ الترتیب لایجب علیہ کالناسي، وہو قول جماعۃ من أئمۃ بلخ۔ وقال الشامي في ہامشہ: نقلہ قاضي خاں في شرحہ عن الحسن بن زیاد، وقال: وکثیر من المشائخ أخذوا بقولہ، ومثلہ في التاتارخانیۃ (منحۃ الخالق مع البحر الرائق / باب قضاء الفوائت ۲؍۱۴۹ رشیدیۃ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি তারতিবের এই আবশ্যকীয়তা সম্পর্কে না জানে,তাহলে তার উপর তারতিব ওয়াজিব নয়,যেমন ভুলে যাওয়া ব্যাক্তির ন্যায়।
★তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার উক্ত নামাজ গুলি আদায় হয়ে গিয়েছে।
আপনার এখন যেহেতু ফজর নামাজ না পড়ার কথা স্বরন এসেছে,তাই এটি দ্রুত আদায়ের চেষ্টা করুন।
মহান আল্লাহই উত্তম তওফিক দাতা।
,
(০২)
হ্যাঁ,উক্ত অবস্থায় নামাজে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব ছিলো।
,
সেজদায়ে সাহু আদায় না করার কারনে ওয়াক্তের ভিতরে সেই নামাজ আদায় করা আপনার উপর ওয়াজিব ছিলো।
,
ওয়াক্ত চলে গেলে সেই নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে কিনা?
এই ব্যাপারে ফুকাহায়ে কেরামগন দের মাঝে মতবিরোধ থাকার দরুন আপনি সতর্কতামূলক সেই মাগরিবের নামাজ পুনরায় আদায় করবেন।
,
(০৩)
না,এক্ষেত্রে ঈশা,বিতর নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।