জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আযান ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দশন-যার মাধ্যমে সালাতের সময়ের হওয়ার কথা মানুষ জানতে পারে।
সুতরাং বুঝমান ও বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন বালক যদি আযান দেয় তাহলে তা সহিহ হবে। এর চেয়ে কম বয়সী শিশুর আজান গ্রহনযোগ্য নয় এবং তা যথেষ্ট হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ قَالَ : ” كَانَ عُمُومَتِي يَأْمُرُونَنِي أَنْ أُؤَذِّنَ لَهُمْ وَأَنَا غُلَامٌ لَمْ أَحْتَلِمْ ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ شَاهِدٌ، فلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ ” .
আব্দুল্লাহ ইবনে আবি বকর বিন আনাস বলেন,“আমার চাচারা আামকে আজান দেয়ার আদেশ করলে (আমি আজান দিতাম)। সে সময় আমি অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক ছিলাম। আনাস বিন মালিক রা. আমাকে দেখলেও তিনি প্রতিবাদ করেন নি।” (ইবনুল মুনজির আওসাত গ্রন্থে ৩/১৭৬)
★নাবালেগের আযান সহিহ হলেও বালেগ পুরুষ দ্বারা আযান, ইকামত দেয়া উত্তম ৷
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 391):
"(ويجوز) بلا كراهة (أذان صبي مراهق).
(قوله: بلا كراهة) أي تحريمية؛ لأن التنزيهية ثابتة؛ لما في البحر عن الخلاصة: أن غيرهم أولى منهم. اهـ. ح.
সারমর্মঃ
বালেগ হওয়ার নিকটতম ব্যাক্তির আযান দেওয়া মাকরুহে তাহরিমি ছাড়াই জায়েজ আছে।
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
আপনার ছেলের বয়স মাত্র ৫ বছর তিন মাস, তাই সে
বুঝমান ও বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন বালক এখনো হয়ে না উঠার কারনে যদিও তার আযান দিলে আর আযান লাগবেনা,তারপরেও সেটি মাকরুহে তাহরিমি হবে।
তাই জামা'আতে নামাজের ক্ষেত্রে আপাতত তার আযান না দেওয়াই উচিত।
আর কয়েক বছর আযান দিবে,ইনশাআল্লাহ।