আশুরার রোযা সম্পর্কে হাদীসে আছে যে, ‘তোমরা
صوموا عاشوراء وخالفوا فيه اليهود، صوموا قبله يوما أو بعده يوما
আশুরার রোযা রাখ এবং ইহুদীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে; আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন রোযা রাখ।’
মুসনাদে আহমদ ১/২৪১
(০১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি শুধুমাত্র আশুরার দিন রোযা রাখাকে ইসলামী স্কলারদের মতে মাকরুহে তানযিহি।
তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে শুধু আশুরার দিনেও রোযা রাখার প্রমান পাওয়া যায়,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আশুরার রোযার ফজিলত আদায় হয়ে যাবে,ইনশাআল্লাহ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: حِيْنَ صَامَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ إِنْ شَاءَ اللهُ صُمْنَا الْيَوْمَ التَّاسِعَ قَالَ فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ حَتّٰـى تُوُفِّىَ رَسُولُ اللهِ ﷺ
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আশূরার রোযা রাখলেন এবং সকলকে রাখার আদেশ দিলেন, তখন লোকেরা বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! এ দিনটিকে তো ইয়াহুদ ও নাসারারা তা’যীম করে থাকে।’ তিনি বললেন, তাহলে আমরা আগামী বছরে ৯ তারীখেও রোযা রাখব ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আগামী বছর আসার আগেই আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকাল হয়ে গেল।
(মুসলিম ২৭২২, আবূ দাঊদ ২৪৪৫)
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত রোযা ভেঙ্গে ফেলার কারনে পুনরায় কোনো দিন সেই নফল রোযার কাজা আদায় করতে হবে।