আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।

 আমার নানা ব্যাংকে চাকরি করতেন যা সরাসরি সুদের সাথে সম্পৃক্ত। উনি এখন retired। উনি চাকরি করে যে income পেতেন সেটা দিয়ে বিল্ডিং করেন। এখন ব্যাংক থেকে কিছু টাকা দেয় সেটা দিয়ে উনারা চলে। ভালই চলে উনাদের জীবন যাপন। এখন আরো ২ তালা বাড়ি বানাচ্ছে। উনার টাকা যে হারাম এটা উনি খুব ঠিক ভাবে দেখেন না মাথা ঘামান না। উনি রাগী একজন মানুষ এবং করো কথা খুব একটা শুনেন না। আমরা জানি হারাম টাকার মালিক কেউ হয় না। উনি উনার হারাম টাকা গরিবকে সদকা করে দিবেন বলে মনে হয় না। এখন উনি যদি হারাম টাকা গুলো গরিবদের দান না করে মারা যান( আল্লাহ না করুক), তাহলে উনার ৩ ছেলে মেয়ে কম বেশি ভাগ করে নিবে সম্পদগুলো।

১) যেহেতু সম্পদ হারাম, এ ক্ষেত্রে তখন ছেলে মেয়ের করণীয় কি থাকবে?

২)উনি যে বাড়ি বানিয়েছেন, ওখানে ১ তলায় থাকে আর বাকিটা ভাড়া দেয়া আছে। মাসে মাসে যে ভাড়ার টাকা আসে ওটা হালাল নাকি হারাম?

৩) আমাদের যখন টাকা পয়সার সমস্যা হয়, উনারা আমাদের টাকা পয়সা বা অন্য কিছু দিয়ে সাহায্য করে আসছে প্রায় ৮/৯ বছর। ঈদের সময় বা অন্যান্য সময় জমা কাপড় এটা সেটা কিনে দেয়। এখন কি করণীয়?

৪) উনাদের বাসায়ও যাওয়া হয় আমাদের। মা তো বিয়ের পর থেকেই যায়। প্রায় ১৭ বছর হয়েছে বিয়ের। এতদিন উনাদের বাসায় যে গিয়েছে, খেয়েছে - ওটার জন্য কিছু করতে হবে?

৫) আমাদের financial প্রবেলমের সময় উনাদের থেকে যে সাহায্য পেতাম তার জন্য কি কিছু করতে হবে?

৬) আমার আওয়াল ওয়াক্তে নামায পড়তে অনেক আলসেমি লাগে। ধুলতে ধুলতে একদম দেরি দেরি করে নামায পড়ি। কোনো অজর ছাড়া নানাজ দেরিতে পড়লে গুনা হবে?

৭) আমি যখন রেগে যায় তখন আমার হুশ থাকে না। আমার ভাইয়ের সাথে তর্কা তরকি হলে বা ও কথা না শুনলে আমি রেগে যাই আর ওকে মারি। বকাও দেই অনেক। মা বাবা খুব রাগ হয় এজন্য আমার উপর। আমার কি এক্ষেত্রে গুনাহ হবে? আমার করণীয় কি?

৮) আমার দাদী গাছের কাছে সবসময় একটা মানুষ দেখে লাঠি নিয়ে দাড়ানো। আবার দেখে মাঝেমধ্যে অনেক পুলিশ আসে ওই মানুষের কাছে। ওই মানুষটা নাকি গাছের ওখানে। আমরা কেউ দেখি না এটা। দাদী একাই দেখে। উনি অনেক ভয়ও পাই লোকটার জন্য। উনি কেনো দেখে আর কি দেখে? উনার করণীয় কি?
হুজুর প্লীজ উত্তরগুলো দিবেন। জাজাকাল্লাহু খাইর। বারকাল্লাহু ফিক।

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(১)
সুদ হারাম।উনার সম্পদ উনার কোনো ওয়ারিছের জন্য গ্রহণ করা জায়েয হবে না। যদি উনার ওয়ারিছদের এছাড়া আর কোনো সম্পদ না থাকে,বরং তারা প্রায়ই নিঃস্ব থাকে, তাহলে তাদের জন্য গ্রহণ করা তখন মিসকিন হিসেবে জায়েয হবে।


(২)
বাড়ির এবং বাড়ির ভাড়া সবকিছুই হারাম।বাড়ির ভাড়া নিয়ে অবশ্যই মতবিরোধ রয়েছে।

(৩)
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হালালের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।

১ম নং এবং ২য়নং সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ হবে না। আর ৩য় সুরতে জায়েয হলেও, গ্রহণ না করাই উত্তম। 
এবং ৪র্থ সুরতে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনারা যদি স্বাবলম্বী না হন,আপনাদের উপর যাকাত ফরয না হয়ে থাকে,তাহলে আপনারা আপনাদের নানার উক্ত হারাম সম্পত্তি ভোগ করতে পারবেন।আপনাদের জন্য হারাম হবে না।নতুবা আপনাদের জন্য আপনাদের নানার কোনো প্রকার সাহায্য সহযোগিতা গ্রহণ করা জায়েয হবে না।অতিতে গ্রহণ করে থাকলে আপনাদের উপর সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করা ওয়াজিব।

(৪)
আপনারা যদি স্বাবলম্বী হন,তাহলে যেই পরিমাণ খেয়েছেন,সেই পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দেবেন।সদকাহ করা ওয়াজিব।নুতবা সদকাহ করা লাগবে না।

(৫)
আপনারা যদি স্বাবলম্বী হন,তাহলে যেই পরিমাণ সাহায্য গ্রহণ করেছেন,সেই পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দেবেন।সদকাহ করা ওয়াজিব।নুতবা সদকাহ করা লাগবে না।

(৬)
কোনো অজর ছাড়া নানাজ দেরিতে পড়লে গোনাহ হবে।
(৭)
কারো প্রতি জুলুম করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।আপনি রাগের সময় সাথে সাথেই অজু করে দু'রাকাত নামায পড়ে নিবেন।

(৮) এর জন্য ভালো কোনো আলেমের স্বরনাপন্ন হোন।স্থানীয় কোনো আলেম সাহেব/ ইমাম সাহেবের সাথে যোগাযোগ করুন।





(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 145 views
...