ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অহী আসার জন্য নবী হওয়া শর্ত নয়।বরং নবী ব্যতীতও অহী আসে। নবী ব্যতীত অহী আসার প্রমাণ।কুরআনে আল্লাহ তা'আলা নবী ব্যতীত অহীর কথা বলেছেন।
যেমন আল্লাহ তা'আলা মুসা আঃ এর মা সম্পর্কে বলেন,
وَأَوْحَيْنَا إِلَى أُمِّ مُوسَى أَنْ أَرْضِعِيهِ فَإِذَا خِفْتِ عَلَيْهِ فَأَلْقِيهِ فِي الْيَمِّ وَلَا تَخَافِي وَلَا تَحْزَنِي إِنَّا رَادُّوهُ إِلَيْكِ وَجَاعِلُوهُ مِنَ الْمُرْسَلِينَ
আমি মূসা-জননীকে আদেশ পাঠালাম যে, তাকে স্তন্য দান করতে থাক। অতঃপর যখন তুমি তার সম্পর্কে বিপদের আশংকা কর, তখন তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ কর এবং ভয় করো না, দুঃখও করো না। আমি অবশ্যই তাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দেব এবং তাকে পয়গম্বরগণের একজন করব। (সূরা কাসাস-৭)
আল্লাহ তা'আলা মৌমাছিকে অহী প্রেরণ করেছেন বা করেছিলেন,সে সম্পর্কে বলেন,
وَأَوْحَى رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ أَنِ اتَّخِذِي مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا وَمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُونَ
আপনার পালনকর্তা মধু মক্ষিকাকে আদেশ দিলেনঃ পর্বতগাহ্রে, বৃক্ষ এবং উঁচু চালে গৃহ তৈরী কর,
ثُمَّ كُلِي مِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ فَاسْلُكِي سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلاً يَخْرُجُ مِن بُطُونِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاء لِلنَّاسِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।(সূরা নাহল-৬৮-৬৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ তা'আলা নবী ব্যতিত অন্যান্যদের বলায় ও অহী প্রয়োগ করেছেন।এর অর্থ হল, ইলহাম।তথা তাদের নিকট সরাসরি জিবরাইল আঃ আসেননি।বরং অন্তরে ঢেলে দেওয়া হয়েছে বা তারা স্বপ্নযোগে দেখেছেন।
হযরত খিজির আঃ নবী ছিলেন কি না? এ নিযে মতবিরোধ রয়েছে।বিশুদ্ধ কথা হল, তিনি নবী ছিলেন না। এবং উনার অন্তরে ঢেলে দেওয়া হত বা তিনি স্বপ্নযোগে আল্লাহর তরফ থেকে ইশারা পেতেন।
(১)
জ্বী, আল্লাহ চাইলে বান্দাদের গাইব প্রকাশ করে দিতে পারেন।
(২) হয়তো স্বপ্নের দ্বারা বা ইলহামের দ্বারা।
(৩)
পাচটি বিষয় ব্যতীত যা একমাত্র আল্লাহ জানেন। তা তিনি চাইলেই বান্দাদের জানাতে পারেন।
(৪)
এক্ষেত্রে বলা যায় কি আল্লাহ চাইলে তার আরশের কিংবা জলপরী আছে কি না তা বান্দাদের জানাতে পারেন।
ইলহাম দ্বারা শরীয়তের কোনো বিধিবিধান প্রমাণিত হবে না।