আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
257 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
পপি থেকে উৎপন্ন আফিম থেকে উৎপন্ন যেসব ঔষধ তৈরি করা হয়? তা ব্যবহার জায়েজ কিনা?

সম্প্রতি তালেবানদের নিয়ে ১টা অভিযোগ উঠেছে,,তারা নাকি উচ্চ ট্যাক্সের বিনিময়ে হলেও আফগানিস্তানে আফিম চাষে অনুমোদন দিয়েছে।ইসলামের দৃষ্টিতে এ উদ্যোগ কতটা যৌক্তিক?আর মাদক ছাড়াও আফিমের আরও কত রকমের ব্যবহার আছে,,যা ইসলামে জায়েজ।এটা জানাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুগ্রহ করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/22183 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ذَهَبَ الْحَنَفِيَّةُ إِلَى أَنَّهُ لَا حَدَّ عَلَى مَنْ شَرِبَ سِوَى الْخَمْرِ مِنَ الأَْشْرِبَةِ الْمَعْهُودَةِ الْمُسْكِرَةِ إِلَاّ إِذَا سَكِرَ مِنْ شُرْبِهَا، كَنَقِيعِ الزَّبِيبِ وَالْمَطْبُوخِ
أَدْنَى طَبْخَةٍ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ أَوِ التَّمْرِ وَالزَّبِيبِ وَالْمُثَلَّثِ، وَالأَْشْرِبَةِ الْمُتَّخَذَةِ مِنَ الْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرِ وَالدَّخَنِ وَالذُّرَةِ وَالْعَسَل وَالتِّينِ وَنَحْوِ ذَلِكَ (1) .
وَقَدِ اسْتَدَلُّوا بِقَوْل ابْنِ عَبَّاسٍ: " حُرِّمَتِ الْخَمْرَةُ بِعَيْنِهَا، قَلِيلُهَا وَكَثِيرُهَا، وَالسُّكْرُ مِنْ كُل شَرَابٍ (2)
[«الموسوعة الفقهية الكويتية» (25/ 94)]
মদ কম বেশী যাই পান করা হবে, তাকে হদ তথা আশিটি বেত্রাঘাত করা হবে। আর মদ ব্যতিত অন্যান্য মাদকতা সেবন করলে শুধুমাত্র তখনই হদ প্রয়োগ করা হবে, যখন তাতে নেশা চলে আসবে ।

 يَحْرُمُ تَنَاوُل الْبَنْجِ وَالأَْفْيُونِ وَالْحَشِيشَةِ، وَلَا يُحَدُّ شَارِبُهَا عِنْدَ جُمْهُورِ الْفُقَهَاءِ بَل يُعَزَّرُ 
[«الموسوعة الفقهية الكويتية» (25/ 94)]
আফিম, হাশিশ, বান্ডি সেবন করা হারাম। যদি কেউ পান করে, তাহলে জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম উক্ত সেবনকারীর শাস্তি হদ নির্ধারণ না করে, বরং তা’যির অর্থাৎ তথা রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

https://www.ifatwa.info/165 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হেদায়া গ্রন্থের সর্বজনখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল কাদীরে বর্ণিত রয়েছে......
যে সমস্ত এলকোহল খেজুর বা আঙ্গুর দ্বারা বানানো হয়নি, তেমন বস্তু নেশা না আসা পর্যন্তের জন্য ব্যবহার জায়েজ ইমাম আবু হানীফা রহঃ এবং ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ এর মতানুসারে। (ফাতহুল কাদীর-৮/১৬০)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আফিম যেহেতু সামান্য সেবন করলেও নিশা চলে আসে,তাই এগুলো খাওয়া হারাম। তবে নেশা না আসলে হারাম হবে না।মোটকথা,আঙ্গুর এবং খেজুরের শরাব ব্যতিত বাকীগুলো দ্বারা নেশা আসলে তা হারাম।

তাছাড়া বর্ণিত রয়েছে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ রেশম কাপড় বিক্রির অনুমতি হযরত উমর রাযি কে দিয়েছিলেন,
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةًسِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا»
উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন, আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে, তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে।(সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)

ইবনে নুজাইম রাহ লিখেন,
أن بيع العصير ممن يتخذه خمرا إن قصد به التجارة، فلا يحرم وإن قصد به لأجل التخمير حرم (الأشباه والنظائر-53)
আঙ্গুরের শরাব যা থেকে মদ তৈরী করা হবে, যদি সেটার ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে, তাহলে জায়েয।আর যদি সেটার ক্রয়-বিক্রয় মদ তৈরীর জন্য হয়ে থাকে, তাহলে সেটা জায়েয হবে না।(আশবাহ ওয়ান-নাযাইর-৫৩)

অবশ্যই এ নিয়ে মতবেদ রয়েছে যে,নেশাকর জিনিষের ক্রয়-বিক্রয় কি বৈধ না অবৈধ?
পক্ষ্যে বিপক্ষে উভয় রকম মতামত পাওয়া যায়।

হ্যা, বিক্রয় না করা উত্তম,সে ব্যাপারে কোনো মতবিরোধ নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...