জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এটি সম্ভাব্য একটি ব্যাখ্যা, যেটি আপনার জীবনে নিশ্চিত ভাবে হবেই বিষয়টি এমন নহে।
তাই ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
(০২)
নামায সেজদায় শুধুমাত্র কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দু'আ গুলোই করা যাবে।
সেজদায় গিয়ে سبحان ربي الأعلى
ছাড়াও অন্যান্য দোয়া পড়া যাবে। সমস্যা নেই। কিন্তু দুনিয়াবি দোয়া বা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় অনেক দোয়া পাঠ করতেনঃ
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}
আরো জানুনঃ
তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন নফল নামাজে বাংলায় দোয়া করার রুখসত দিয়েছেন।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার প্রশ্নটি ছিলো মনে মনে দোয়া করা সংক্রান্ত, সেক্ষেত্রে আপনি যেকোনো ভাষায় মনে মনে দোয়া করতে পারবেন।
তবে এসময়ে চুপ থাকা যাবেনা।
যবানে সেজদার তাসবিহ বা উপরে উল্লেখিত কোনো দোয়া চালিয়ে যেতে হবে।
,
(০৩)
অঞ্চলগত পার্থক্য আছে,আর তাদের বলে দেওয়া তরিকার আমল গত পদ্ধতি নিয়ে কিছু পার্থক্য আছে।
জানামতে তাদের মাঝে মতবাদের দিক লক্ষ্য করে কোনো পার্থক্য নেই।
,
(০৪)
হ্যাঁ সেসব ফজিলত পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ।
,
(০৫)
নফল আদায়ে শক্তভাবে আদেশ করা উদ্দেশ্য।
,
(০৬)
হ্যাঁ অবশ্যই সেই চেষ্টা করতে হবে।
,
(০৭)
ফজিলত পাবেন।
তবে অন্তরের শুদ্ধির জন্য বেশি বেশি ইবাদত,ও নেক বান্দাদের কাছে থেকে, এ অবস্থা থেকে আগে উত্তরন হতে হবে।