ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
শরীয়তের বিধান হলো
যদি অজুর অঙ্গগুলোতে কোনো এমন জিনিস থাকে ,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে
পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবে না। সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে
থাকলে ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে।
হযরত আবু তামীম জায়শানী
রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর
রা. যখন অযু করতেন আংটি নাড়াচাড়া করতেন। আবু তামীমও তা করতেন। ইবনে হুবায়রাও তা
করতেন।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১/৩৭১ (৪৫৬); মাবসূত,
সারাখসী ১/১০; আদ্দুররুল মুখতার ১/১২৬; আলবাহরুর রায়েক ১/১৩; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ৪২৮
*যাইতুন বা সরিষার
তেল অজুর অঙ্গগুলোতে পানি পৌঁছাতে প্রতিবন্ধক নয় । (আদ্দুররুল মুখতার ১/১৫৪ ) রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথায় তেল ব্যবহার করতেন।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يُحْرِمَ
يَتَطَيَّبُ بِأَطْيَبِ مَا يَجِدُ ثُمَّ أَرَى وَبِيصَ الدُّهْنِ فِي رَأْسِهِ
وَلِحْيَتِهِ بَعْدَ ذَلِكَ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইহরাম বাঁধার সংকল্প করতেন তখন তিনি যথাসাধ্য সর্বোত্তম সুগন্ধি
ব্যবহার করতেন। অতঃপর আমি তার মাথায় ও দাঁড়িতে তৈলের চাকচিক্য দেখতে পেতাম। (সহীহ মুসলিম
২৭০৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
চুল-দাঁড়িতে যাইতুন
বা সরিষার তেল ব্যবহার করে অযু করলে অযু সহীহ হবে।