আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
286 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
IOM এ ভর্তি হওয়ার পরে দাওয়াহ বেপার এ জানলাম। এখানে মুলত অমুসলিম দেরকে দাওয়াত এর কথা বলা হয়।আমার এক বান্ধুবি আমাকে বলল যে আমরা নিজেরাই ত বর্তমানে পুরো কুফরি সিস্টেম এ চলছি।  আমরা ত আল্লাহর কোন বিধান  ই মানি না। সরকার তার বানান বিধান দিয়ে আমাদেরকে চালায়। আকিদা থেকে আমরা জানি আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য কোন বিধান মানা কুফরি করা। তবে এ অবস্থায় আমাদের কি ইমান অাছে?  আর সে ক্ষেত্রে আমাদের কি আগে ইসলামিক বিধান আগে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কাজ করা উচিত নাকি অমুসলিম দেরকে এক কুফরি সিস্টেম থেকে আরেক কুফরি সিস্টেম এ  আনা উচিৎ?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ  

 وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْكَافِرُوْنَ 
‘যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার বা শাসন করেনা, তারা কাফের’ (মায়েদাহ ৫/৪৪)। 

উক্ত আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা সেটাই, যা ছাহাবায়ে কেরাম করেছেন।
,
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, مَنْ جَحَدَ مَا أَنْزَلَ اللهُ فَقَدْ كَفَرَ وَمَنْ أَقَرَّ بِهِ وَلَمْ يَحْكُمْ فَهُوَ ظَالِمٌ فَاسِقٌ ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে অস্বীকার করল সে কুফরী করল। আর যে ব্যক্তি তা স্বীকার করল, কিন্তু সে অনুযায়ী বিচার করল না সে যালিম ও ফাসিক।
(ইবনু জারীর, কুরতুবী, ইবনু কাছীর, উক্ত আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য; তাহকীক দ্রষ্টব্য : খালেদ আল-আম্বারী, উছূলুত তাকফীর পৃঃ ৬৪; ৭৫-৭৬ টীকাসমূহ।)
,
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, لَيْسَ بِالْكُفْرِ الَّذِي يَذْهَبُونَ إِلَيْهِ إِنَّهُ لَيْسَ كُفْرًا يَنْقِلُ عَنِ الْمِلَّةِ، وَهُوَ كُفْرٌ دُوْنَ كُفْرٍ وَظُلْمٌ دُوْنَ ظُلْمٍ، وَفِسْقٌ دُوْنَ فِسْقٍ ‘তোমরা এ কুফরী দ্বারা যে অর্থ বুঝাতে চাচ্ছ, সেটা নয়। কেননা এটি ঐ কুফরী নয়, যা কোন মুসলমানকে ইসলামের গন্ডী থেকে বের করে দেয়। বরং এর দ্বারা বড় কুফরের নিম্নের কুফর, বড় যুলুমের নিম্নের যুলুম ও বড় ফিসকের নিম্নের ফিসক বুঝানো হয়েছে।
(হাকেম হা/৩২১৯, ২/৩১৩, সনদ ছহীহ; তিরমিযী হা/২৬৩৫।)

বিস্তারিত জানুনঃ   
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আমাদের ঈমান ঠিক আছে,কেউ কাফের হয়ে যাইনি।  

কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একজন ইমাম বা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা সকল মুসলমানদের উপর ফরযে কেফায়া।

খেলাফতের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...