আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
edited by

ami amar istree k kabin nam ty . 18 number a kono talak dewar onumoti daini .amon ki moukhik vaby o daini kono din ee jar proman chobi soho amr kachy asy......pory jokhin kabin nama uthity jai tokhon dykhi ..kazi..nij thyka oi 18 number a "hya" disy. j ami naki amr wife k ai onumoti dise...ja akta protarona o boty.toby ki islam ai rup protarona k somorthon kory 

porobortity amader moddhy monomalinno hoy .ar er porey oi amk oi 18 er boly amk court thyk amk na janiya  talak dey.ja akta protarona o boty

1) tar ai talak dewa ki soriya somponno hoisy ?naki ai divorce ee hoyni?

2)ar amar wife jodi er moddhy abar bia korey toby ki oi bia baccha ...nazayez hobey ? jodi tai hoy toby zinar sasti

 ki?

3)amar sathy or family aktabar o jogajog korty daini ba amak tarey mananor jonno kono sujog o dei ni. aro amar wife k brain wash koira tary amar thyka dur korsy...ar tar sathy amkdykha na korty dia amr odhikar o horon korsy.

ar amader 8 bochor er relation chelo ar pory 1 bochor er songsar...or bhai bia ty razi chilo na .toby biar por jokhon thyka oi or bhai er sathy milsy oi pura change ....

allahr wasty approve kory uttor ta diben

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “তালাক তারই অধিকার যার রয়েছে সহবাস করার অধিকার” অর্থাৎ স্বামীর। 
সুনানে ইবনে মাজাহ (২০৮১)

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের অনুমতি প্রদান না করে থাকে,নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা প্রদান না করে থাকে,এমনকি স্বামীর অজান্তে কাজি বা অনয় কেউ ১৮ নংং ধারায় হ্যাঁ লিখে দেওয়া সত্ত্বেও স্বামী যদি তাহা না জানে,আর এই না জানা অবস্থাতেই নিচে সাইন করে,তাহলে স্ত্রী তালাক প্রদানের ক্ষমতা প্রাপ্ত হবেনা।

كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা।    

★ তবে যদি স্বামীর দস্তখত করার সময় জানা থাকে যে, কাজী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দিয়েছে মর্মে উপরে লিখে দিয়েছে, একথা জানার পরও যদি স্বামী উক্ত কাগজের নিচে সাইন করে, তাহলে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে বলে সাব্যস্ত হবে। সেই হিসেবে স্ত্রী যদি পরবর্তীতে নিজের উপর তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যায়। 

আরো জানুনঃ   
,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক পতিত হয়নি।
   
,
(২.৩)
হ্যাঁ, পরবর্তী বিবাহ,ঘর সংসার,বাচ্চা সবই নাজায়েজ হবে।   
দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠ না থাকার দরুন দুনিয়াতে তার শাস্তি দেওয়া সম্ভব হবেনা,  
এই যেনার কঠিন শাস্তি আখেরাতে সে পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 208 views
...