জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
عليه السلام ‘আলাইহিস সালাম।
’ অর্থ, তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
যারা নবী নন,তাদের নামের শেষে সরাসরি আলাইহিস সালাম বলা জায়েজ নয়।
হ্যাঁ যদি আম্বিয়ায়ে কেরামদের নাম আলোচনার সাথে তারা ব্যাতিত অন্য কোনো নেককারদের নামও আলোচনা করা হয়,তাহলে শেষে তাবে' হিসেবে আলাইহিস সালাম বলা,লেখা ছহীহ আছে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৯০,আহসানুল ফাতওয়া ৯/৩৫,)
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/১০২),
,
পারিভাষিক অর্থে আলাইহিস সালাম আম্বিয়ায়ে কেরামদের নামের সাথেই খাছ।
তবে যিমানান,তাবআন তাদের সংশ্লিষ্টদের নামের সাথেও এটা বলা,লেখা জায়েজ আছে।
সুতরাং যখন শুধু হযরত হুসাইন এর নাম বলা হবে,তখন রাদিআল্লাহু আনহু বলতে হবে।
আলাইহিস সালাম বলা যাবেনা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
سَلٰمٌ عَلٰۤی اِلۡ یَاسِیۡنَ ﴿۱۳۰﴾
ইলয়াসীনের উপর শান্তি বৰ্ষিত হোক।
(সুরা আস সফফাত ১৩০)
سَلٰمٌ عَلٰی مُوۡسٰی وَ ہٰرُوۡنَ ﴿۱۲۰﴾
মূসা ও হারূনের প্রতি সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তা)।
(সুরা আস সফফাত ১২০)
سَلٰمٌ عَلٰی نُوۡحٍ فِی الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۷۹﴾
সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।
(সুরা আস সফফাত ৭৯)
ولا یصلی علی غیر الأنبیاء ولا علی غیر الملائکۃ إلا بطریق التبع۔ (تنویر الأبصار علی الدر المختار، کتاب الخنثیٰ / مسائل شتی ۶؍۷۵۳ دار الفکر بیروت، ۱۰؍۴۸۳ زکریا، معارف القرآن ۲۲۳۷، کذا في النووي علی شرح صحیح مسلم ۱؍۱۷۶، مستفاد: فتاویٰ احیاء العلوم ۱؍۱۵۴)
সারমর্মঃ আম্বিয়া ব্যাতিত অন্য কাহারো নামে দরুদ, আলাইহিস সালাম বলা যাবেনা।
তবে তাবে' হিসেবে সকলের নামের শেষে বলা যাবে।
(০২)
না,তাদের নামের সাথে আলাইহিস সালাম বলা যাবেনা।
,
হ্যাঁ যদি মুহাম্মাদ সাঃ এর নামের সাথে আহলে বাইতের সদস্য যারা রয়েছেন তাদের নাম উল্লেখ করা হলে আলাইহিস সালাম বলা যাবে।
قولہ: {سلام} منا سعادۃ وسلامۃ {علی آل یاسین} علی آل محمد علیہ السلام۔ (تفسیر ابن عباس علی ہامش الدر المنثور [الصفت] ۴؍۳۴۵ مؤسسۃ الرسالۃ بیروت)
সারমর্মঃ যখন মুহাম্মাদ সাঃ এর পরিবারের সাথে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নাম উল্লেখ করা হয়,তখন নামের শেষে আলাইহিস সালাম বলা যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ " . حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَزِيدَ، نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল-হাসান ও আল-হুসাইন (রাযিঃ) প্রত্যেকেই জান্নাতী যুবকদের সরদার।
সহীহঃ সহীহাহ (৭৯৬)
সুফইয়ান ইবনু ওয়াকী’-জারীর ও মুহাম্মাদ ইবনু ফুযাইল হতে, তিনি ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে এই সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
(তিরমিজি ৩৭৬৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হাদীসে এসেছে হুসাইন রাঃ জান্নাতী যুবকদের সর্দার হবেন। যারা যুবক অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। তাদের সর্দান হবেন হাসান ও হুসাইন রাঃ। আর কোন নবীই যুবক অবস্থায় ইন্তেকাল করেননি। সবাই যৌবন পাড় করে প্রৌঢ় অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। একই অবস্থা বড় বড় সাহাবীদের। তাই এ হাদীস দ্বারা নবী ও বড় সাহাবীদের অপমান করা হয়নি। আর হযরত হাসান ও হুসাইন রাঃ নবীগণ এবং বয়স্ক ও মুরুব্বী সাহাবীদের সর্দারও হবেন না। কেবলি যুবক অবস্থায় ইন্তেকাল করা ব্যক্তিদের সর্দার হবেন।