আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
380 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (35 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা তুহ   
হজরত, আমার ছোট ভাই হাফেজ আলহামদুলিল্লাহ। তবে এই লকডাউনে সকল মাদ্রাসাই বন্ধ।বাসায় বসে ফেসবুকের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে গেছে।নামাজের প্রতিও কোনো সঠিক মনোযোগ নাই।কোরআন তিলাওয়াতও করে না।   দ্বীনের প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে।

বাবা মা সবাই বিরক্ত ওর ব্যবহারের উপর।আমার রাগ একটু বেশি। শয়তান এইটার ফায়দা নেয়। তার(ছোট ভাইয়ের) এইসব কাজ  আমার  সহ্য হয় না।একজন হাফেজ হয়ে এইসব কাজ তার মানায় না।এইনিয়ে কয়েকবার মারামারি ও হয়েছে।
তার এইসব ব্যবহার এ এতই রাগ উঠে এবং সহ্যের সীমা অতিক্রম করে এবং  ইচ্ছে  হয় যেনো  মেরে ফেলি। বাবা -মা সবাই ওর ব্যবহারে অতিষ্ঠ। যতক্ষণ মোবাইল থাকবে ততক্ষণ ভালো। মোবাইল নিয়ে নিলে সবাইকে বিরক্ত করা শুরু করে। ওর বয়স ১৭ বছর।    
******************

আজ রাত ২ টা ৩০ এ  আম্মু  স্বপ্নে দেখলেন আমি আমার ছোট ভাইকে কিছু একটা দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলি এবং একটি বস্তায় ভরে বাহিরে নিয়ে ফেলে আসি। এইটা দেখে আম্মুর ঘুম ভেঙে যায়।
এইটার ব্যাখ্যা কি হতে পারে শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্ন দ্বারা বুঝা যায় যে এটি আপনার মায়ের কল্পনা থেকেই এসেছে।
তাই এটি নিয়ে টেনশনের কিছু নেই।
সমাধান হিসেবে যদি মাদ্রাসা খোলা নাই হয়,সেক্ষেত্রে এলাকার/পাশের কোনো হাফেজ সাহেবের কাছে তাকে পড়া শোনানোর ব্যবস্থা করতে পারেন।
তাকে কাজে লেগে রাখতে হবে,তাহলে সমস্যা হবেনা,ইনশাআল্লাহ। 
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতেও পাঠাতে পারেন।    

আপনার মাকে নিম্নোক্ত ফতোয়ার আমল গুলো করতে বলবেনঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...