বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মোল্লা আলী কারী রাহ ইমাম তিবীর ব্যখ্যাকে উল্লেখ করে বলেন,
ولا عبرة بطعن ابن حجر فيه وتضعيف كلامه وحمله على التكلفة والمنافاة لظاهر الحديث فإن التحقيق كما يستفاد من حديث: أن من عمل بالقرآن فكأنه يقرؤه دائما وإن لم يقرأه، ومن لم يعمل بالقرآن فكأنه لم يقرأه وإن قرأه دائما، وقد قال الله - تعالى - {كتاب أنزلناه إليك مبارك ليدبروا آياته وليتذكر أولو الألباب} [ص: ٢٩] فمجرد التلاوة والحفظ لا يعتبر اعتبارا يترتب عليه المراتب العلية في الجنة العالية
যে ব্যক্তি কুরআনী বিধানের উপর আ'মল করে নিবে,সে যেন সর্বদাই কুরআন পড়তেছে।যদিও সে কুরআন না পড়ে থাকুক।আর যে ব্যক্তি কুরআনের উপর আমল করবেনা,সে যেন কুরআন পড়েইনি।যদিও সে সর্বদা কুরআন পড়ে থাকুক না কেন।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।(সূরা ছোয়াদ-২৯)সুতরাং শুধুমাত্র কুরআন হিফজ বা কুরআন তিলাওয়াত জান্নতের সুউচ্ছা মর্যাদার জন্য যথেষ্ট হবে না।(বরং সাথে আ'মল থাকতে হবে) (মিরকাত-৪/১৪৭০)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বে অা'মল হাফেজ রা কিয়ামতের দিন,আয়াত ভুলে যাবে।তাদের বিরুদ্ধে কুরআন অভিযোগ দায়ের করবে।তারা হাদীসে বর্ণিত এ সমস্ত ফযিলতের ভাগিদার হবে না।
যারা হাফেয না,কিন্তু আ'মল করতেছে,আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন,তাদেরকে সেই সব আয়াত স্বরণ করিয়ে দেবেন।ফলে তারা এক আয়াত এক আয়াত করে পড়তে থাকবে এবং সিড়ি অারোহন করে করে জান্নাতে ফ্লোর আরোহন করতে থাকবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যারা হাফিজ নয়,তারা যদি কুরআনের বিধিবিধানের উপর আ'মল করে, তাহলে তারাও জান্নাতের উচু স্থানে জায়গা পাবে।আর যে সব হাফিজগণ আ'মল করবে না,তারা হাদীসে বর্ণিত হাফিজদের যে ফজিলত রয়েছে, তা পাবে না।
(২)
তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করুন।আল্লাহ সহায় হবেন।সরাসরি কোনো রুকইয়াহ কুরআন হাদীস দ্বারা বর্ণিত নয়।