আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আমার বউ এর সাথে আমার মা কে নিয়া কিছুটা মনোমালিন্য হয়।ওই আমার মার সাথেই একসাথে থাকতে চায় না।তার জের ধরে সে তার মা ভাই বোনদের আমার বাসায় ডেকে আনে ।আর ওরা তাকে  ওদের সাথে করে নিয়ে যায়। নিয়া যাওয়ায় পর আমি টাকে অনেক বার নিজের দোষ স্বীকার করে ওরে অর বাসায় আনতে জাই ।কিন্তু অর ফ্যামিলি আমাকে অপমান করে বাসা থেকে বের করে দিল। যে মেয়ে আমার সাথে 9 বছর রিলেশন ছিল ঐ টাইম এ আমাকে ছাড়া কিছু বুঝতে তো না। আবার বিয়ের একবছেরও আমাকে ছাড়া কিছু বুঝতে তো না।ওই মেয়ে তার ভাই এর প্ররোচনায় আমাকে তালাক কাগজ পাঠায়। যদিও আমি তাকে 18 নাম্বার এ কোনও অনুমতি দেয়নি। ওইটা কাজী নিজে থেকেই লিখসে। হ্যাঁ।

আসলে আমি অনুমতি দিইনি জার ছবি সহ প্রমাণ আমার কাছ আছে।

এখন আমার প্রশ্ন হল।এই তালাক কি শরীয়া মোতাবেক হইসে? নাকি ওই আমার স্ত্রী হিসাবে কিয়ামত পর্যন্ত  থাকবে?

আর আমরা উভয় আল হাদীস

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4506 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি  যে, 
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে। তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিয়ে থাকে, এবং স্ত্রী যদি নিজের উপর তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে। কিন্তু যদি স্বামী অধিকার না দিয়ে থাকে, এবং কাবিন নামায় স্ত্রী কলে বলে কৌশলে লিখিয়ে অধিকারের কথা লিখিয়ে নেয়, অতঃপর স্ত্রী নিজের উপর তালাক গ্রহণ করে, তাহলে দুনিয়ার বিচারে তালাক হয়ে গেলেও আল্লাহর বিচারে তালাক পতিত হবে।

কাবিন নামায যদি বিনা শর্তে তালাকের অধিকারের কথা স্ত্রী লিখিয়ে নিয়ে নেয়, তাহলে স্ত্রীর সাধারণত তালাক গ্রহণের অধিকার দুনিয়ার বিচারে অর্জিত হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কোনো শর্তের আলোকে লিখিয়ে নেয়, তাহলে উক্ত শর্ত পাওয়া গেলে তখনই তালাক গ্রহণের অধিকার অর্জিত হবে। স্ত্রী যদি স্বামীর ধ্বজভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করে তালাক গ্রহণ করে তাহলে স্বামী তার নরমাল রিপোর্ট কোর্টে পেশ করতে পারে, তখনই কোর্টে দুনিয়ারে বিচারে তালাক গ্রহণের অধিকার স্ত্রীর অর্জিত হবে না। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আমরা হানাফি ফিকহের আলোকে ফাতাওয়া দিয়ে থাকি।আপনারা যদি আহলে হাদীস ফিকহের আলোকে মাস'আলা জানতে চান? তাহলে তাদের ওখানে যোগাযোগ করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...