আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১. বাসায় কিছু কালারফুল হিজাব এবং বোরকা আছে যা বাসার কেউ আর কখনো পরিধান করবো না। এই বোরকা এবং হিজাব গুলো কি করতে পারি? অন্য কাউকে কি দেওয়া যাবে? এতে করে কি গুনাহগার হবো?
২. বাইরে যাওয়ার সময় পরিধান করার একটি জামা রয়েছে যা আর কখনো পরিধান করা হবে না। এই জামাটি কি বাসার খাদেমাকে দেওয়া যাবে? যদি না দেওয়া যায় তাহলে এ জামা কি করবো?
৩. আত্নীয় এর মাঝে হারাম উপার্জন রয়েছে এমন মানুষ রয়েছেন। তারা বেড়াতে আসার সময় খাবার অথবা অন্য কোনো উপহার সামগ্রী আনলে এগুলো কি করবো? যেহেতু হারাম উপার্জন দিয়ে এগুলো কেনা হয়েছে।
৪. কারও বাসায় গেলে বাসায় যিনি উপার্জন করেন তিনি হারাম উপার্জন করেন নাকি হালাল উপার্জন করেন তা যদি না জানা যায় তাহলে সেক্ষেত্রে সেই বাড়ির খাবার কি খাওয়া যাবে? আবার অনেক সময় প্রতিবেশীরা খাবার দেয় বিভিন্ন সময়ে সেক্ষেত্রে তা কি খাওয়া যাবে যদি তাদের উপার্জন সম্পর্কে না জানা থাকে?
৫. আত্নীয় দের মাঝে পীরের মুরিদ রয়েছে। তাদের বাড়িতে যাওয়া কি ঠিক হবে? তাদের বাসার কোনো কিছু খাওয়া কি ঠিক হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/7763 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

মহিলাদের জন্য সকল রংয়ের পোষাক পড়া জায়েয আছে।পুরুষের জন্য খালিছ লাল এবং হলুদ রংয়ের পোষাক নিয়ে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।তবে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী পুরুষদের জন্যও অনুমতি রয়েছে।তবে শর্ত হলো,মহিলাদের সাদৃশ্য না হওয়া।কিতাবুন-নাওয়াযিল-১৫/৩৩০,ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪/১২৫, ফাতাওয়ায়ে রাশিদিয়্যাহ-৫৮৫)

لما فى الشامية ،ج:٦ص:٣٨٥
وكره لبس المعصفر والمزعفر الأحمر والاصفر للرجال مفاده انه لايكره للنساء 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মহিলারা যেকোনো রংয়ের বোরখা পড়তে পারবে।মহিলাদের জন্য কাপড়ের রংয়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।তবে পর-পুরুষের আকর্ষণ জন্মে, এমন পোষাক বা এমন বোরখা পড়া যাবে না।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1090

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি এই কালারফুল বোরকা নিজেও পড়তে পারবেন এবং অন্যকেও দিতে পারবেন।তবে পরপুরুষের সামনে বিনা প্রয়োজনে এই কালারফুল বোরকা পরিধান করে যাওয়া যাবে না
অন্যকে হাদিয়া দিলে,যদি সে উক্ত বোরকা পরিধান করে কোনো গোনাহের কাজ করে,তাহলে তার গোনাহ হবে।আপনার কোনো গোনাহ হবে না।

(২)
"বাইরে যাওয়ার সময় পরিধান করার একটি জামা রয়েছে যা আর কখনো পরিধান করা হবে না।"

আপনি এই জামাটি বাসার খাদেমাকে দিয়ে দিতে পারবেন। যদি দিতে না পারেন, তাহলে অন্য কাউকে দিয়ে দিবেন। যদি কাউকে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে ভিন্ন কাজে ব্যবহার করে নিবেন।যদি তাও সম্ভব না হয়,তাহলে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে পারবেন,বা জ্বালিয়ে দিতেও পারবেন।

(৩)
সওয়াবের নিয়ত ব্যতিত সদকাহ করে দিবেন।গরীব মিসকিন দেখে কাউকে দিয়ে দিবেন।

(৪)
যেহেতু মুসলমান হালাল ভক্ষণ করবে,এটাই সাধারণ নিয়ম,তাই কারো সম্পর্কে হারাম ভক্ষণের অভিযোগ না আসলে, তাকে হালাল ভক্ষণ কারীই বুঝতে হবে। এবং তার দাওয়াত গ্রহণ করা যাবে।

(৫)
পীর মুরিদিকে ছাত্র শিক্ষকের ভুমিকায় নিয়ে আসলে তখন আর কোনো সমস্যা বাকী থাকবে না।

শিক্ষার নিয়তে পীরের মুরিদ হওয়া যাবে।তবে পীর সাহেবের আকিদা বিশুদ্ধ থাকতে হবে। বিস্তারিত জানুন



সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ থাকলে তাদের ঘরে খাওয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...