ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মহিলাদের জন্য সকল রংয়ের পোষাক পড়া জায়েয আছে।পুরুষের জন্য খালিছ লাল এবং হলুদ রংয়ের পোষাক নিয়ে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।তবে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী পুরুষদের জন্যও অনুমতি রয়েছে।তবে শর্ত হলো,মহিলাদের সাদৃশ্য না হওয়া।কিতাবুন-নাওয়াযিল-১৫/৩৩০,ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪/১২৫, ফাতাওয়ায়ে রাশিদিয়্যাহ-৫৮৫)
لما فى الشامية ،ج:٦ص:٣٨٥
وكره لبس المعصفر والمزعفر الأحمر والاصفر للرجال مفاده انه لايكره للنساء
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মহিলারা যেকোনো রংয়ের বোরখা পড়তে পারবে।মহিলাদের জন্য কাপড়ের রংয়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।তবে পর-পুরুষের আকর্ষণ জন্মে, এমন পোষাক বা এমন বোরখা পড়া যাবে না।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1090
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি এই কালারফুল বোরকা নিজেও পড়তে পারবেন এবং অন্যকেও দিতে পারবেন।তবে পরপুরুষের সামনে বিনা প্রয়োজনে এই কালারফুল বোরকা পরিধান করে যাওয়া যাবে না
অন্যকে হাদিয়া দিলে,যদি সে উক্ত বোরকা পরিধান করে কোনো গোনাহের কাজ করে,তাহলে তার গোনাহ হবে।আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(২)
"বাইরে যাওয়ার সময় পরিধান করার একটি জামা রয়েছে যা আর কখনো পরিধান করা হবে না।"
আপনি এই জামাটি বাসার খাদেমাকে দিয়ে দিতে পারবেন। যদি দিতে না পারেন, তাহলে অন্য কাউকে দিয়ে দিবেন। যদি কাউকে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে ভিন্ন কাজে ব্যবহার করে নিবেন।যদি তাও সম্ভব না হয়,তাহলে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে পারবেন,বা জ্বালিয়ে দিতেও পারবেন।
(৩)
সওয়াবের নিয়ত ব্যতিত সদকাহ করে দিবেন।গরীব মিসকিন দেখে কাউকে দিয়ে দিবেন।
(৪)
যেহেতু মুসলমান হালাল ভক্ষণ করবে,এটাই সাধারণ নিয়ম,তাই কারো সম্পর্কে হারাম ভক্ষণের অভিযোগ না আসলে, তাকে হালাল ভক্ষণ কারীই বুঝতে হবে। এবং তার দাওয়াত গ্রহণ করা যাবে।
(৫)
পীর মুরিদিকে ছাত্র শিক্ষকের ভুমিকায় নিয়ে আসলে তখন আর কোনো সমস্যা বাকী থাকবে না।
শিক্ষার নিয়তে পীরের মুরিদ হওয়া যাবে।তবে পীর সাহেবের আকিদা বিশুদ্ধ থাকতে হবে। বিস্তারিত জানুন
সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ থাকলে তাদের ঘরে খাওয়া যাবে।