আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
281 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
হারাম রিলেশনে থাকা অবস্থায় ছেলেটা মেয়েটাকে কিছু জিনিস গিফট  করে। কিন্তুু রিলেশনশিপটা ভেঙ্গে গেছে। এখন ছেলের দেওয়া গিফটগুলো কি মেয়েটা ওই ছেলের কাছে গিয়ে ফেরত দিয়ে আসবে? মেয়েটা চাই না আর ওই ছেলের সাথে কথা বা দেখা করতে।

প্রশ্ন ১) মেয়েটা কি গিফটগুলো ওই ছেলের কাছে গিয়ে ফেরত দিয়ে আসবে নাকি ফেলে দিবে?

মেয়ের জীবনে হারাম রিলেশন ছিল।কিন্তুু মেয়েটা হেদায়েত পাওয়ার পড়ে আর কোনো হারাম রিলেশন যায়  নাই। আল্লাহ এর নিকট তওবা করে নিজেকে এসব রিলেশন থেকে সরিয়ে নিয়ে এসেছে।

এখন বিয়ের পরে যদি মেয়েটার  Husband মেয়েটাকে জিজ্ঞাসা করে যে তার বিয়ের আগে কোনো প্রেমের সম্পক ছিল কিনা?
প্রশ্ন ২)মেয়েটার কি তার husband কে তার বিয়ের আগের সম্পকের কথা মানে মেয়েটার আগে সম্পক ছিল এইটা কি বলে দিতে হবে তার Husband কে?
সম্পকের কথা না বললে কি গুনাহ হবে?
বিঃ দ্রঃ মেয়েটা তো আল্লাহ এর নিকট তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হয়ে তওবা করেছে তার পরও কি সম্পকের কথা তার husband কে বলতে হবে?

আমি শুনেছি যে নিজের অপরাধের কথা অন্য মানুষের সাথে বলে না বেড়াতে। অপরাধের জন্য লজ্জিত হয়ে আল্লাহ এর নিকট তওবা করাই উওম।
আমার উওর জানা খুব দরকার

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/8234 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, 
হাদিয়াকে যখন কেউ গ্রহণ করে নেবে তখন সেটার সম্পূর্ণ মালিক ঐ ব্যক্তি হয়ে যাবে, যে ঐ হাদিয়াকে গ্রহণ করে নিবে।
ولا يملك المهدى إليه الهدية إلا بالقبض بإذن المهدي أو وارثه عند موته قبل القبض
হাদিয়া যার নিকট প্রেরণ করা হচ্ছে,সে ব্যক্তি যতক্ষণ না প্রেরক বা প্রেরকের ওয়ারিছদের অনুমতিতে গ্রহণ/কবজা না করছে,ততক্ষণ সে উক্ত জিনিষের মালিক হবে না।(আল-মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-৪২/২৫৬)
সুতরাং যখন হাদিয়া গ্রহণের পর গ্রহণকারী এই জিনিষের সম্পূর্ণ মালিক বনে যায়,তাই সে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে এটাকে ব্যবহার করতে পারবে।চাইলে কাউকে হাদিয়াও দিতে পারবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হারাম উদ্দেশ্যে কেউ কাউকে হাদিয়া দিলে,সেই হাদিয়া অবশ্যই হারাম বলে পরিগণিত হবে।তবে প্রেরক যেহেতু অন্তরের সন্তুষ্টিতে এ সমস্ত হাদিয়া দিয়েছেন,তাই প্রাপক কবজা করে নিলে প্রাপক অবশ্যই সেটার মালিক বনে যাবে।সে হিসেবে বলা যায় যে,যদিও রিংকে ফেরৎ দেয়া মেয়ের উপর ওয়াজিব নয়,তবে মেয়ের জন্য তাকওয়ার দাবী হল,উক্ত জিনিষকে ফিরিয়ে দেয়া।

(২)
https://www.ifatwa.info/906 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, 
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
এ সব মূলনীতির আলোকে আমরা বলতে পারি,মহিলাকে তার পানিপ্রার্থী বা স্বামী পূর্বে কোনো গোনাহ বা অ্যাফেয়ার সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞাসা করবে না।যদি নারী কে চাপ প্রয়োগ বা জোড়ালো ভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে সে তাওরিয়াহ করতে পারে।তাওরিয়াহ হল,এমন কথা যা থেকে শ্রুতা কিছু একটা বুঝে নিবে।কিন্তু বক্তা অন্য কিছু উদ্দেশ্য নিবে।যেমন- স্ত্রী বলবে,আমার কারো সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো না।উদ্দেশ্য নিবে,আজকে বা গতকাল কারো সাথে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। অথবা এভাবে বলবে, আমার যে সম্পর্ক ছিলো,তুমি কি তা বিশ্বাস করবে?স্বামীর উচিৎ সে দ্বীনদ্বার, চরিত্রবান কোনো নারী দেখে বিয়ে করবে। যখন সে কাউকে বিয়ে করে নেবে,তখন সে যেন তার স্ত্রীকে অতীত জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা না করে,খোজখবর না নেয়।কেননা দোষ গোপন রাখাই অাল্লাহর পছন্দনীয়।যা কারো অতীত জীবনী তালাশের বিরোধী। এতেকরে সন্দেহের সৃষ্টি হয় যা সংসার নামক প্রশান্তিদায়ক বস্তুকে অগ্নিময় করে তুলে।মানুষকে অস্থির ও পেরেশান করে তুলে। স্বামীর জন্য এটাই যথেষ্ট যে সে তার স্ত্রীকে ইবাদতে লিপ্ত দেখবে।তার ফরমাবরদার হবে।ঠিক এমনিভাবে স্ত্রী তার স্বামীকে  অতীত জীবন সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করবে না।স্বামী কি ইতিপূর্বে কাউকে ভালবেসেছিলো? অন্য কারো প্রতি তার মন কখনো চলে গিয়েছিলো?সে কি কোনো গোনাহের কাজে কখনো গিয়েছিলো?কেননা এমনসব প্রশ্নে কোনো উপকার নেই।বরং এর দ্বারা অপকারের এমনসব দরজা খুলে যায়,যার সংশোধন কখনো সম্ভবপর হয় না।স্বামী যদি স্ত্রীকে বারংবার জিজ্ঞাসা করে।অথবা এ বিষয়ে স্ত্রীর মূখ থেকে হ্যা/না শুনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে, অন্যদিকে স্ত্রী নিজেকে বাচানোর অন্য কোনো রাস্তা খুজে না পায়,তাহলে সে নিজের ভবিষ্যৎ জীবনকে সন্দেহমুক্ত রাখতে তাওরিয়াহ করে কসম করতে পারবে।কিন্তু যদি এমন হয় যে,পূর্বের রিলেশনের কথা স্বামী একদিন জেনে যাবে,এবং রিলেশনটাও এ পর্যায়ের ছিলো,অস্বীকার করে পার পাওয়া যাবে না।এবং এটা যে স্বামী জানবে,এ সম্পর্কে অধিকাংশ ধারণা থাকে।স্বামী ভবিষ্যতে জানলে সংসার বিষময় হয়ে যেতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে বিয়ের পূর্বেই স্বামীকে অবগত করে দেওয়া উচিৎ।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...