ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ঈমানের পরিচয় দিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
أن تُؤْمِنَ بِاللهِ وَمَلائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَِالْيَوْم الآخِر وَتُؤْمِنَ بالْقَدْرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ.
‘‘তুমি ঈমান আনবে আল্লাহর উপরে, তাঁর ফিরিশতাগণের উপরে, তাঁর কেতাবগুলোর উপরে, তাঁর রাসূলগণের উপরে, শেষ দিবসের (আখেরাতের) উপরে, এবং তুমি ঈমান আনবে তাকদীরের উপরে: তার ভাল এবং তার মন্দের উপরে।’’(মুসলিম, আস-সহীহ ১/৩৭; বুখারী, আস-সহীহ ১/২৭, ৪/১৭৯৩)
ঈমানের এ ছয়টি রুকন বা স্তম্ভের কথা কুরআন ও হাদীসে বারংবার উল্লেখ করা হয়েছে। লক্ষ্যণীয় যে, ‘ঈমানে মুফাস্সালের মধ্যে আখিরাতের বিশ্বাসকে পৃথক দুটি বাক্যাংশে প্রকাশ করা হয়েছে (ইয়াওমিল আখির) ও (বা’সি বা’দাল মাউত): শেষ দিবস ও মৃত্যুর পরে উত্থান। উভয় বিষয় একই।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাতটি বিষয়ে ঈমান আনার পর তাকে মু’মিন বলা হবে। এবং পরবর্তী বিষয় নিয়ে যেহেতু উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে, কাজেই বুঝা গেল যে, তা অকাট্য দলীল প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত নয়, সুতরাং ঐ বিষয়াবলীর উপর বিশ্বাস না রাখলেও তাকে মু’মিন বলা যাবে, তবে ইজমায়ে উম্মতের খেলাফ হওয়ার কারণে সে পথভ্রষ্ট হিসেবে বিবেচিত হবে।