ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
(ক) কোনো ব্যক্তি অন্য কাউকে "আল্লাহর দোহাই/কসম" দিয়ে কিছু করতে বললে সেটা কসম হবে না।
(খ) অপর ব্যক্তিটির জন্য উক্ত কাজ আঞ্জাম দেয়া /আদেশ পালন করা ওয়াজিব হবে না। হ্যা, যেহেতু আল্লাহর নাম নিয়ে বলা হচ্ছে, তাই সম্ভব হলে কাজটি সম্পাদন করাই উচিৎ।
(গ) "আমি পারবো না" আপনি এভাবে বলুন আর নাই বলুন, আপনার জন্য কখনো কসম হবে না।
(২) আপনার জন্য এটা কসম হবে না।
(৩) আপনার জন্য যেহেতু কসম হবে না, তাই আপনার জন্য উক্ত কাজ আঞ্জাম দেওয়াও ওয়াজিব হবে না।
(৪)
গোনাহের কাজ ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত কাজে মাতাপিতার বিধি-নিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)
যে সমস্ত বিষয় মাতাপিতার ফায়দাদায়ক এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকর নয়,সে সমস্ত বিষয়ে মাতাপিতার অনুসরণ ওয়াজিব।যদি মাতাপিতা জন্য ফায়দাদায়ক না হয় বা সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হয়,সে সমস্ত বিষয়ে মাতাপিতা আদেশ নিষেধের অনুসরণ ওয়াজিব নয়।
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭) (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার মাতাপিতা যদি শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজের আদেশ দেন, তাহলে আপনার জন্য ঐ সমস্ত কাজ করা জায়েয হবে না। আর যদি শরীয়ত বিরোধী না হয়, তাহলে আপনার কোনো ক্ষতি না হলে আপনি মানতে বাধ্য। বিশেষ করে যদি তাদের কোনো লাভ থাকে। কিন্তু যদি তাদের কোনো লাভ না থাকে, এবং আপনার মনের সাথে মিল না হয়, তাহলে তখন তাদের বিধি নিষেধ মান্য করাও ওয়াজিব নয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1707