ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) জ্বী, উপরোক্ত দু’টি বিয়ষই বিশুদ্ধ। সঠিক আছে।
(২) অযথা তাদের সাথে তর্ক না করে, বরং আপনি বিশুদ্ধ হানাফি মাযহাব অনুযয়ী আ’মল চালিয়ে যান। কেননা তাদের সাথে অযথা তর্ক করা মানে আপনার সময় নষ্ট হওয়া।
(৩) মুক্তাদী যদি ইমামের পিছনে কোনো তাসবিহ বা দোয়া যেমন তাশাহুদ/দরুদ শরীফ ভুল পরে তাহলে মুক্তাদির উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
আউযু বিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ্ যেহেতু ক্বেরাতের সুন্নাত। তাই যার যিম্মায় ক্বেরাত রয়েছে,অর্থাৎ কুরআন তেলাওয়াত কারী চায় ইমাম হোক বা মুনফারিদ(একাকী নামায আদায় কারী)তিনিই একমাত্র আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ্ পড়বেন।এবং পড়াই সুন্নাত। আল্লাম কা'সানি রাহ লিখেন,
ان التعوذ سنة للقراءة فيأتي به كل قارئ للقرآن .....لا يأتي به المقتدي
আউযুবিল্লাহ ক্বেরাতের সুন্নত। সুতরাং ক্বারী সাহেবগণই একমাত্র পড়বেন।মুক্বতাদি পড়বেন না।(আল-বাহরুর রায়েক্ব-১/৩১১)
আউযু বিল্লাহ শুধুমাত্র প্রথম রাকাতে পড়া সুন্নত। আর নামাযের প্রত্যেক রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে নিম্নস্বরে বিসমিল্লাহ্ পড়া সুন্নত। এবং সূরায়ে ফাতেহার পর সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ্ পড়া উত্তম। অবশ্য এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। তবে সুন্নত না হওয়ার উপর সবাই-ই একমত। (কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৫১,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১৭২) (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামাজে যদি অন্য রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য একটা সুরার মাঝে থেকে তিলাওয়াত করা হয়, তাহলে তখন আউযুবিল্লাহ বলা সুন্নত নয়। হ্যা, পড়লে পড়াও যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে।
(৫) নামাজে প্রথম রাকাত ব্যাতিত অন্য রাকাতে আউযুবিল্লাহ পড়তে হয় না। কিন্তু কেউ যদি পড়ে ফেলে তাহলে নামায ফাসিদ হবে না।