জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
কেউ যদি জীবনে প্রথম অর্থ উপার্জন করে থাকে, তাহলে তা প্রথম কোথায়( কোন কাজে) ব্যয় করা উচিত,এই মর্মে শরীয়তে কোনো বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই।
চাইলে কিছু অংশ মসজিদ/মাদ্রাসায় দান করতে পারে।
চাইলে মা,বাবাকে হাদিয়া হিসেবে দিতে পারে।
চাইলে শিক্ষককে কিছু হাদিয়া দিতে পারে।
সবই তার নিজস্ব অধিকার রয়েছে।
,
হাদীয়া দেওয়া সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
ﻭﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : « ﻟﻮ ﺃُﻫـﺪﻳـﺖ ﺇﻟـﻲَّ ﺫﺭﺍﻉٌ ﻟﻘﺒـﻠﺖُ، ﻭﻟﻮ ﺩُﻋﻴﺖُ ﺇﻟﻰ ﻛُﺮﺍﻉٍ ﻷَﺟﺒﺖُ »
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ আমার নিকট জন্তুর বাহু হাদিয়া পাঠায়,তাহলে আমি তা কবুল করব।আর যদি কেউ আমাকে পায়ের খুরা রেঁধেও দাওয়াত দেয়, তাহলেও আমি জবাব দিবো।(সহীহ বুখারী-৪৮৮৩)
ﻭﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : « ﺗﻬﺎﺩﻭﺍ ﺗﺤﺎﺑﻮﺍ »
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা পরস্পর হাদিয়া দাও তবে তোমাদের পরস্পর মহব্বত সৃষ্টি হবে।(আল-আদাবুল মুফরাদ)ইরওয়াউল গালিল-৬/৪৪
,
(০২)
সদকা শব্দের অর্থ দান। আর জারিয়া মানে প্রবহমান, চলমান।
পরিভাষায় সদকায়ে জারিয়া বলা হয় জীবিত অবস্থায় এমন কোনো নেক আমল করা যার সওয়াব মৃত্যুর পরও পাওয়া যায়। যেমন কেউ দ্বীন শিক্ষার জন্য কোনো মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করল অথবা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করল অথবা জনগণের কল্যাণে কোনো হাসপাতাল, রাস্তা তৈরি করে দিল ইত্যাদি।
সুতরাং ছদকায়ে হিসেবে মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা, ইয়াতিমখানা, হাসপাতাল, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, গভীর নলকুপসহ সাধারণ মানুষের উপকারী ইত্যাদি জনকল্যাণকর স্থাপনা নির্মাণ করা বুঝায়।
,
(০৩)
সম্পূর্ণ মুসহাফ দেয়া ভালো হবে।