আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
464 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (23 points)
আসসালামু  আলাইকুম।

টিভিতে মাদানী চ‍্যানেল বলে একটা চ‍্যানেল আছে যেটা দাওয়াতে ইসলামি সংগঠনের দ্বারা পরিচালিত আমার জানামতে।

তাদের ব‍্যাপারে আমার কিছু সংশয় নিম্নরূপ:

১)তারা  "গোলাম রাসূল মাদানী ফুল" নামে একটা কার্টুন শো করে।

এখানে গোলাম রাসূল বলা হয়েছে স্বাভাবিকভাবে আমি এর অর্থ বুঝি রাসূলের গোলাম( নাউযুবিল্লাহ  )

মানুষ তো কেবল আল্লাহর গোলাম। তবে এই বাক‍্যটি কি শিরকি বাক‍্য হয়ে যায় কিনা?

২)তারা আজ টিভিতে একটি নাত প্রোগ্রাম করছিল সেখানে প্রায় এমন কিছু লাইন বলছিল--

"মনের আশা পূরণ কর হে রাসূল
তোমাকে মা ফাতেমার দোহাই।"

লাইনগুলো হুবহু তুলে ধরতে পারিনি ভূল হলে আল্লাহ মাফ করুন। তবে লাইন দুটি অনেকটাই এমন ছিল আমার যতদূর মনে পড়ে।

তো আমার প্রশ্ন রাসূল (সা:) এর তো ওফাত হয়ে গেছে। এখন রাসূল (সা:) এর কাছে কিছু চাইলে সেটা শিরক হবে না???

আমাদের উম্মুল মুমিনিন হলেন আয়িশা(রা:)।তাহলে তার মেয়েকে অর্থাৎ ফাতিমা (রা:) কে কি মা বলে সম্বোধন করা যাবে?
by
ভাই দাওয়াতে ইসলামীর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করুন,  01777492577
আব্দুন অর্থাৎ  গোলাম শব্দ টি যখন আল্লাহর সাথে নিসবত করা হয় তখন অর্থ হয় বান্দা, 
আর যখন গাইরুল আল্লাহর দিকে নিসবত হয় তখন অর্থ হয় খাদেম,  

রাসুলের গোলাম বলা জায়েজ যা কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমানিত, قال الله تعالى،
( يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ ،،

অর্থাৎ ,  হে নবী আপনি বলুন ওহে আমার গোলাম গন,, যারা নিজেদের আত্মার উপর জুলুম করেছ আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাজ হয়ো না

উক্ত আয়াত দ্বারা বুঝা যায় মুমিন রা আল্লাহর বান্দা রাসুলের গোলাম,,, কেননা আল্লাহ তায়ালা আয়াতের মধ্যে স্পষ্ট বলেছেন হে নবী আপনি বলুন হে আমার বান্দাগণ ইয়া ইবাদী হে আমার গোলামরা




আর গাইরুল্ললাহ থেকে সাহায্য চাওয়া যবে কি না?  
এটা বিস্তারিত জানতে চাইলে আমার উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করুন, 
আল্লাহ পাক আপনাকে সঠিক বুঝ দান করুক

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
গোলামুর রাসূল/গোলাম রাসুল নাম রাখা জায়েজ কি না এ বিষয়ে সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া কমিটির নিকট ফতোয়া জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে বলা হয়:

الظاهر أن معنى غلام عند من يسمون هذه التسمية هو: عبد، فمعنى غلام الرسول: عبد الرسول، ومعلوم أن التسمية بعبد الرحمن، وعبد الله، ونحو ذلك رمز إلى تعلق العبد بربه، على سبيل العبادة والانقياد، وعليه فلا يجوز تسمية المسلم بعبد الرسول أو نحوها؛ لما في ذلك من الرمز إلى الشرك بالله وعبادة غيره، ويتعين على المستفتي التقدم للجهات المختصة بتغيير اسمه إلى ما تصح التسمية به. وبالله التوفيق وصلى الله على نبينا محمد وآله وصحبه وسلم

“এ কথা স্পষ্ট যে, যারা গোলাম রসুল নাম রাখে তাদের কাছে গোলাম অর্থ দাস। অতএব গোলামুর রাসূল (গোলাম রাসূল) অর্থ রাসুলের দাস। অথচ এ কথা স্বতঃসিদ্ধ যে, আব্দুর রহমান (রহমান এর দাস), আব্দুল্লাহ (আল্লাহর দাস) ইত্যাদি নামগুলো ইবাদত ও আনুগত্যের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পৃক্ততার প্রমাণ বহন করে।

কোন মুসলিমের জন্য আব্দুর রাসূল/গোলাম রাসূল (অর্থ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দাস) বা এ জাতীয় নাম রাখা জায়েজ নেই। কারণ এটি আল্লাহর সাথে শিরক এবং আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদতের ইঙ্গিত বহন করে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য শিরকের অন্তর্ভুক্ত,কেননা এটি আল্লাহ ছাড়া অন্যের গোলাম হওয়াত ইঙ্গিত বহন করে। 
,
(০২)
এমনটি বলা জায়েজ নয়।
এটি শিরকের অন্তর্ভুক্ত হবে। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مِن دُونِهِ أَوْلِيَاءَ مَا نَعْبُدُهُمْ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَا إِلَى اللَّـهِ زُلْفَىٰ

“যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে রেখেছে তারা বলে যে, আমরা তাদের এবাদত এ জন্যেই করি, যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়।” [সূরা যুমার: ৩] 

★হ্যাঁ তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ওসিলা দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া জায়েজ আছে।   

হাদিসে আনাস ইবনে মালিক (রা) বলেন,

إِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ إِذَا قَحَطُوا اسْتَسْقَى بِالْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنَّا كُنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنك فَتَسْقِينَا وَإِنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِعَمِّ نَبِيِّنَا فَاسْقِنَا قَالَ فَيُسْقَوْنَ

“উমর রা. যখন অনাবৃষ্টিতে আক্রান্ত হতেন তখন আব্বাস ইবনু আব্দুল মুত্তালিবকে রা. দিয়ে বৃষ্টির দুআ করাতেন, অতঃপর বলতেন: হে আল্লাহ আমরা আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওসিলায় আপনার নিকট প্রার্থনা করতাম ফলে আপনি আমাদের বৃষ্টি দান করতেন। এখন আমরা আপনার নিকট প্রার্থনা করছি আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চাচার ওসিলায়। অতএব আপনি আমাদেরকে বৃষ্টি দান করুন। আনাস রা. বলেন, তখন বৃষ্টিপাত হতো।” [বুখারী, আস-সহীহ ১/৩৪২, ৩/১৩৬০]
,
★সম্মান সূচক আমাদের দেশের কিছু ব্যাক্তিবর্গ  নবি কন্যা ফাতেমা রাঃ কে মা বলে সম্বোধন করে থাকে,যেটি জায়েজ আছে।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এটি জায়েজ নেই।
তাই সতর্কতা কাম্য।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...