ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) একা নামায পড়াকালীন সময়ে যদি ওযু ভেঙে যায় তাহলে ওযু করে এসে আবার ওইখান থেকেই নামাযকে শুরু করা যাবে যেখানে অজু চলে গিয়েছিলো।তবে নতুনভাবে প্রথম থেকেই শুরু করে নেয়া উত্তম। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/5859وإن سبقه الحدث بعد التشهدتوضأ وسلم؛ لأنه لم يبق عليه سوى السلام، وإن تعمد الحدث تمت صلاته؛ لأنه لم يبق عليه شيء من أركان الصلاة، وقد تعذر البناء لمكان التعمد وإذا لم يبق عليه شيء من أركان الصلاة تمت صلاته
যদি তাশাহুদ পড়ার অজু চলে যায়,তাহলে সে অজু করে এসে সালাম ফিরিয়ে নেবে।কেননা তার উপর সালাম ব্যতীত নামাযের আর কোনো জরুরী বিষয় বাকী নেই।কিন্তু যদি কেই ইচ্ছাকৃত অজুকে ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে।কেননা তখন তার উপর নামাযের আর কোনো রুকুন অবশিষ্ট নেই।ইচ্ছাকৃত নামায ভঙ্গ করার ধরুণ বিনা তথা পূর্বের নামাযের অবশিষ্ট কিছু অংশকে আবার আদায় করা।সুতরাং যখন কারো উপর নামাযের কোনো রুকুন আর বাকী থাকবে না,তখন নামায সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।(অাল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৪/৮৯)
সুনানে আবু-দাউদে বর্ণিত রয়েছে,
«إذا قلت هذا أو فعلت فقد تمت صلاتك إن شئت أن تقوم فقم، وإن شئت أن تقعد فاقعد»
যখন তুমি তাশাহুদ পড়ে নিবে,তখন তোমার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে।চাইলে তুমি নামাযকে ছেড়ে দিয়ে(তথা ইচ্ছাকৃত নামাযকে ভঙ্গ করে আবার) দাড়াতে পারো।এবং চাইলে তুমি বসে থাকতেও পারো।
সুতরাং শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ওযু ভেঙ্গ দেয়,তাহলে নামায সম্পন্ন হয়ে যাবে।আর অজু করার কোনো প্রয়োজনিয়তা থাকবে না।
(৩) ইমামের সাথে জোহরের সম্পূর্ন নামায পাওয়ার পর দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহুদ পড়ার সময় অজু ভেঙে গেলে আপনি অজু করে এসে প্রথমে বিনা করবেন তথা ছুটে যাওয়া নামাযকে বিনা কিরাতে পড়ে তার ইমামের সাথে শরীক হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/10764(৪) মসজিদে গিয়ে যদি ইমামকে রুকু অবস্থায় পেলে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধতে হবে। তারপর রুকু করতে হবে।
(৫) কেউ যদি ১ম রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইখলাস পরে এবং দ্বিতীয় রাকাতেও সূরা ফাতেহার পরে সূরা ইখলাস শুরু করে ফেলে এবং এক আয়াত পড়ার পরে তার মনে পরে। তখন আবার বিসমিল্লাহ বলে অন্য সূরা পড়ে, তাহলেও নামায ফাসিদ হবে না। তবে মাকরুহে তানযিহি হবে কি না ? এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
(৬) একই সূরা দুই রাকাতেই পড়ে ফেললে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। তবে মাকরুহে তানযিহি হবে কি না ? তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
(৭) ফরজ নামাজে ৩/৪ রাকাতে কিরআত না করলেও তো বা সূরা ফাতিহা না পড়লেও নামাজ হবে এ কথা ঠিক। কেননা ফরয নামাযের ৩/৪ রাকাতে কিরাত পড়া সুন্নত। সুন্নতের খেলাফ করা মাকরুহে তানযিহি।
(৮) ফরজ নামাজে ৩/৪ রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলালে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
(৯) ইমামকে রুকুতে পেলেই রাকাত হবে না। কমপক্ষে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় রুকুতে পেতে হবে। কথাটা ঠিক।
(১০) রুকু/সিজদার তাসবিহ যদি না পরে অথবা ভুল পরে তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।