আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
312 views
in সালাত(Prayer) by (80 points)
১) একাকী নামায পড়া সময় অজু ভেঙে গেলে বাকি নামায কিভাবে আদায় করবো বিস্তারিত জানতে চাই।

২) আপনাদের এর আগের একটি ফতোয়ায় দেখেছি নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পরে অজু ভেঙে গেলেও নামাজ হবে।তাহলে তাশাহুদের পরে অজু ভেঙে গেলে কি অজু ছাড়াই দরুদ শরীফ,দোয়া মাসুরা পরে সালাম ফিরাবো?

৩)ইমামের সাথে জোহরের সম্পূর্ন নামায পেলাম।কিন্তু দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহুদ পড়ার সময় অজু ভেঙে গেলো এখন কি করব?

৪) মসজিদে গিয়ে যদি ইমামকে রুকু অবস্থায় পাই তাহলে কি আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধতে হবে?নাকি সরাসরি রুকু করবো?হাত বাঁধলে কি নামাজ বাতিল হবে?

৫)কেউ যদি ১ম রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইখলাস পরে এবং দ্বিতীয় রাকাতেও সূরা ফাতেহার পরে সূরা ইখলাস শুরু করে ফেলে এবং এক আয়াত পড়ার পরে তার মনে পরে। তখন আবার বিসমিল্লাহ বলে অন্য সূরা পড়লে কি হবে?

৬) একই সূরা দুই রাকাতেই পড়ে ফেললে কি সাহু সিজদা দিতে হবে?

৭) ফরজ নামাজে ৩/৪ রাকাতে কিরআত না করলেও তো বা সূরা ফাতিহা না পড়লেও নামাজ হবে এ কথা কি ঠিক?

৮) ফরজ নামাজে ৩/৪ রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলালে কি নামাজ হবে?

৯)ইমামকে রুকুতে পেলেই রাকাত হবে না। কমপক্ষে দুই তাসবিহ পরিমাণ সময় রুকুতে পেলে রাকাত হিসেবে গণ্য হবে। এমন বক্তব্য কি সঠিক?

১০) রুকু/সিজদার তাসবিহ যদি না পরে অথবা ভুল পরে তাহলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) একা নামায পড়াকালীন সময়ে যদি ওযু ভেঙে যায় তাহলে ওযু করে এসে আবার ওইখান থেকেই নামাযকে শুরু করা যাবে যেখানে অজু চলে গিয়েছিলো।তবে নতুনভাবে প্রথম থেকেই শুরু করে নেয়া উত্তম। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5859
(২)https://www.ifatwa.info/3464 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
وإن سبقه الحدث بعد التشهدتوضأ وسلم؛ لأنه لم يبق عليه سوى السلام، وإن تعمد الحدث تمت صلاته؛ لأنه لم يبق عليه شيء من أركان الصلاة، وقد تعذر البناء لمكان التعمد وإذا لم يبق عليه شيء من أركان الصلاة تمت صلاته
যদি তাশাহুদ পড়ার অজু চলে যায়,তাহলে সে অজু করে এসে সালাম ফিরিয়ে নেবে।কেননা তার উপর সালাম ব্যতীত নামাযের আর কোনো জরুরী বিষয় বাকী নেই।কিন্তু যদি কেই ইচ্ছাকৃত অজুকে ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে।কেননা তখন তার উপর নামাযের আর কোনো রুকুন অবশিষ্ট নেই।ইচ্ছাকৃত নামায ভঙ্গ করার ধরুণ বিনা তথা পূর্বের নামাযের অবশিষ্ট কিছু অংশকে আবার আদায় করা।সুতরাং যখন কারো উপর নামাযের কোনো রুকুন আর বাকী থাকবে না,তখন নামায সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।(অাল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৪/৮৯)

সুনানে আবু-দাউদে বর্ণিত রয়েছে,
 «إذا قلت هذا أو فعلت فقد تمت صلاتك إن شئت أن تقوم فقم، وإن شئت أن تقعد فاقعد»
যখন তুমি তাশাহুদ পড়ে নিবে,তখন তোমার  নামায পূর্ণ হয়ে যাবে।চাইলে তুমি  নামাযকে ছেড়ে দিয়ে(তথা ইচ্ছাকৃত নামাযকে ভঙ্গ করে আবার) দাড়াতে পারো।এবং চাইলে তুমি বসে থাকতেও পারো।

সুতরাং শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ওযু ভেঙ্গ দেয়,তাহলে নামায সম্পন্ন হয়ে যাবে।আর অজু করার কোনো প্রয়োজনিয়তা থাকবে না।

(৩) ইমামের সাথে জোহরের সম্পূর্ন নামায পাওয়ার পর  দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহুদ পড়ার সময় অজু ভেঙে গেলে আপনি অজু করে এসে প্রথমে বিনা করবেন তথা ছুটে যাওয়া নামাযকে বিনা কিরাতে পড়ে তার ইমামের সাথে শরীক হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/10764
(৪) মসজিদে গিয়ে যদি ইমামকে রুকু অবস্থায় পেলে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধতে হবে। তারপর রুকু করতে হবে। 

(৫) কেউ যদি ১ম রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইখলাস পরে এবং দ্বিতীয় রাকাতেও সূরা ফাতেহার পরে সূরা ইখলাস শুরু করে ফেলে এবং এক আয়াত পড়ার পরে তার মনে পরে। তখন আবার বিসমিল্লাহ বলে অন্য সূরা পড়ে, তাহলেও নামায ফাসিদ হবে না। তবে মাকরুহে তানযিহি হবে কি না ? এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। 

(৬) একই সূরা দুই রাকাতেই পড়ে ফেললে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। তবে মাকরুহে তানযিহি হবে কি না ? তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। 
(৭) ফরজ নামাজে ৩/৪ রাকাতে কিরআত না করলেও তো বা সূরা ফাতিহা না পড়লেও নামাজ হবে এ কথা ঠিক। কেননা ফরয নামাযের ৩/৪ রাকাতে কিরাত পড়া সুন্নত। সুন্নতের খেলাফ করা মাকরুহে তানযিহি। 
(৮) ফরজ নামাজে ৩/৪ রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলালে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। 
(৯)  ইমামকে রুকুতে পেলেই রাকাত হবে না। কমপক্ষে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় রুকুতে পেতে হবে। কথাটা ঠিক। 
(১০) রুকু/সিজদার তাসবিহ যদি না পরে অথবা ভুল পরে তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 250 views
0 votes
1 answer 530 views
...