আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (56 points)
আস্সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

১. একজন নারী সপরিবারে ইংল্যান্ড থাকেন৷ পরিপূর্ণ পর্দা করে চলেন৷ উনি কি "Health and social care(including foundation year) বিষয়ে বিএসসি (অনার্স) করতে ইচ্ছুক৷ সম্ভবত সহশিক্ষা রয়েছে৷ উক্ত পরিস্থিতিতে ইসলামে তার উক্ত বিষয়ে লেখাপড়া করার অনুমতি রয়েছে?

২. একজন নারী চায়নায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন৷ করোনা পরিস্থিতির জন্য তার এখনও চায়নায় যাওয়া সম্ভব হয়নি৷ বিগত প্রায় একবছর ধরে তিনি অনলাইনে ক্লাস করছেন৷ মেডিকেলে সহশিক্ষা রয়েছে এবং চায়নায় তার কোন মাহরাম নেই৷ এমন পরিস্থিতিতে তার পরিপূর্ণ পর্দা বজায় রেখে ফিতনায় না জড়িয়ে লেখাপড়া করতে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://www.ifatwa.info/3447 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইব্ন জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাইবোন!
কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও শিক্ষা অর্জনের কোনো ব্যবস্থা করতে না পারলে, এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো অমুসলিম দেশে শিক্ষার সুযোগ পায়,তাহলে দু’টি শর্তে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে শিক্ষার্জন করা জায়েয হবে।যথাঃ- 
(এক)সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে। 
(দুই)সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।

সুতরাং
প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জরুরী যে,তারা প্রথমে নিজ দেশ বা কোনো ইসলামী দেশে লেখাপড়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টাপ্রচেষ্টা করবে।নারী-পুরুষ সবার জন্য একই শর্ত।তবে নারীদের জন্য পৃথক কিছু বিষয় লক্ষ্যণীয়। তারা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারবে না।এবং অনিরাপদ স্থানে একাকী বসবাস করতে পারবে না।বিস্তারিত জানতে উপরোক্ত লিংকে ক্লিক করুন। (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) উক্ত নারী যেহেতু স্বপরিবারে ইংল্যান্ডে রয়েছেন, তাই উনাদের জন্য উচিৎ সর্বদা কাফিরদেরকে দাওয়াতের নিয়ত রেখে চলাফেরা করা। সম্ভব হলে মুসলিম কোনো দেশে পাড়ি জমানো। মুসলিম দেশে পাড়ি জমানোর পূর্বে উক্ত দেশে ঐ নারী ইস্তেগফারের সাথে শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন। সর্বদা দৃষ্টিকে হেফাজত রাখবেন। 

(২) যেহেতু ঐ নারী এখনো অমুসলিম দেশে যাননি, তাই উনার জন্য উচিৎ নিজ দেশ বা কোনো মুসলিম দেশে মানসম্মত শিক্ষার তালাশ করা। যদি শতচেষ্টার পরও না পান, তাহলে তিনি মাহরাম কাউকে সাথে নিয়ে যেতে পারবেন। তবে মাহরাম ব্যতিত একা একা কোনো অমুসলিম দেশে যাওয়াকে ইসলাম কখনো সমর্থন দিবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
২য় প্রশ্নে উক্ত নারীর পক্ষে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোন মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া সম্ভব না৷ ইতোমধ্যে তার লেখাপড়ার জন্য তার পরিবারের অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে৷ 

তার সাথে যাওয়ার মতো তেমন মাহরাম না থাকলে তিনি কি ইস্তেগফার চালিয়ে লেখাপড়া করতে পারবেন?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...