বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইব্ন জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাইবোন!
কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও শিক্ষা অর্জনের কোনো ব্যবস্থা করতে না পারলে, এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো অমুসলিম দেশে শিক্ষার সুযোগ পায়,তাহলে দু’টি শর্তে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে শিক্ষার্জন করা জায়েয হবে।যথাঃ-
(এক)সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে।
(দুই)সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।
সুতরাং
প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জরুরী যে,তারা প্রথমে নিজ দেশ বা কোনো ইসলামী দেশে লেখাপড়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টাপ্রচেষ্টা করবে।নারী-পুরুষ সবার জন্য একই শর্ত।তবে নারীদের জন্য পৃথক কিছু বিষয় লক্ষ্যণীয়। তারা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারবে না।এবং অনিরাপদ স্থানে একাকী বসবাস করতে পারবে না।বিস্তারিত জানতে উপরোক্ত লিংকে ক্লিক করুন। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) উক্ত নারী যেহেতু স্বপরিবারে ইংল্যান্ডে রয়েছেন, তাই উনাদের জন্য উচিৎ সর্বদা কাফিরদেরকে দাওয়াতের নিয়ত রেখে চলাফেরা করা। সম্ভব হলে মুসলিম কোনো দেশে পাড়ি জমানো। মুসলিম দেশে পাড়ি জমানোর পূর্বে উক্ত দেশে ঐ নারী ইস্তেগফারের সাথে শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন। সর্বদা দৃষ্টিকে হেফাজত রাখবেন।
(২) যেহেতু ঐ নারী এখনো অমুসলিম দেশে যাননি, তাই উনার জন্য উচিৎ নিজ দেশ বা কোনো মুসলিম দেশে মানসম্মত শিক্ষার তালাশ করা। যদি শতচেষ্টার পরও না পান, তাহলে তিনি মাহরাম কাউকে সাথে নিয়ে যেতে পারবেন। তবে মাহরাম ব্যতিত একা একা কোনো অমুসলিম দেশে যাওয়াকে ইসলাম কখনো সমর্থন দিবে না।