বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইমদাদুল ফাতাওয়া-১/৬৪৫-৬৬৬ এ বর্ণিত রয়েছে যে,প্রত্যেক নামাযের পর দু'আ করা মুস্তাহাব। নামায জামাতে হোক বা একাকী হোক।সর্বাবস্থায় মুস্তাহাব।
নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত সম্পর্কে ফুকাহায়ে কিরামের ভিন্ন রকম পরস্পর বিরোধী মতামত পাওয়া যায়।
অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাতকে বিদ'আত আখ্যায়িত করেছেন।
(আহসানুল ফাতাওয়া , ৩য় খন্ড , পৃঃ ৬৯৮)অন্যদিকে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কিরাম এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন।(ইমদাদুল ফাতাওয়া-১ /৬৪৫ -৬৬৬)
সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য কথা হল,
যদি অাক্বিদা বিশুদ্ধ থাকে তথা এমন থাকে যে,নামাযের পর প্রচলিত মুনাজাত পদ্ধতি জরুরী কোনো বিষয় নয়,বরং ইচ্ছাধীন,তাহলে মুনাজাত বৈধ বা জায়েয।বিদ'আত ও নয় আবার মুস্তাহাব ও নয় বরং জায়েয তথা মুবাহ,করাও যেতে পারে আবার নাও করা যেতে পারে।
এই মুনাজাতের উপর পুরুস্কার-তিরস্কার কিছুই আসবে না।
এজন্য ইমাম সাহেব কর্তৃক মুসাল্লিদেরকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া উচিৎ,যাতে করে তাদের আক্বিদা- বিশ্বাস বিশুদ্ধ থাকে।মাঝেমধ্যে সম্মিলিত মুনাজাত পরিত্যাগ করাও উচিৎ,যাতে করে জনসাধারণের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয় যে,প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাত (বিধান হিসেবে)ফরয বা ওয়াজিব নয়।
বিশেষকরে উলামায়ে কেরামের জন্য মাঝেমধ্যে পরিত্যাগ করা উচিৎ এবং জরুরী।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত সম্পর্কে হানাফি মাযহাবের পূর্ববর্তী উলামাদের সাধারণত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না।তথা ইমাম আবু-হানিফা রাহ, এবং ইমাম আবু-ইউসুফ রাহ এবং ইমাম মুহাম্মদ রাহ গণের কোনো বক্তব্য তাতে পাওয়া যায় না।