ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) জ্বী, নুজুয়াতুর রহমান রাখতে হবে। নুজুয়াত রহমান এভাবে নাম রাখা যাবে না। নুজুয়াত রহমান নাম কেউ রেখে ফেললে নামটিকে চেইঞ্জ করতে হবে।
(২) ৩য় বার পানিতে ওই কাপড়টি ডুবানোর পর--বাহির থেকে নাপাকি ছিটকে এসে ওই ৩য় বারের পানিতে যদি পরে যায় বা ডুবন্ত কাপড়ে পড়ে যায়, তাহলে উক্ত কাপড় বা পানি নাপাক হয়ে যাবে। উক্ত কাপড়কে আবার নতুন পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে। এবং তিন বার ধৌত করতে হবে। এবং প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে ধৌত করতে হবে।
বিজ্ঞ আলেমে দ্বীন বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা সারখাসী রাহ বলেনঃ
নাজাসত দু-প্রকার (১)দৃশ্যমান নাজাসত (২)অদৃশ্যমান নাজাসত
★অদৃশ্যমান নাজাসত যদি কাপড় বা শরীরে লাগে তাহলে তাকে অবশ্যই দূর করতে হবে।মূল নাজাসত দূর হওয়ার পর তার আছর অবশিষ্ট থাকলে কোনো সমস্যা নেই।এভাবেই রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ হায়েযের রক্ত সম্পর্কে বলেনঃ
"কিছু দ্বারা রক্তকে তুলে দাও,অতঃপর আঙ্গুল দ্বারা ঘষাঘষি করো তারপর তাকে দৌত করো।তারপরও যদি তাতে আছর থাকে তাহলে কোনোপ্রকার সমস্যা হবে না।
কেননা যখন কোনো মহিলা অপবিত্র হান্না দ্বারা নিজ হাতকে রঙ্গাবে এবং তৎপরবর্তী হাতকে দুয়ে নিবে,তাহলে এমতাবস্থায় তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।হাতে খেযাবের রঙ্গের আছর তাতে কোনোপ্রকার ক্ষতি করবে না।
এবং ফকিহ আবু জাফর রাহ বলেনঃ
মূল নাজাসত দূর হওয়ার পর দু'বার দুয়ে নিবে কেননা এমতাবস্থায় তা অদৃশ্য নাজাসতের সামঞ্জস্য হয়ে যাচ্ছে।এজন্য আরও একবার দুয়ে নেয়া হবে।
আর অদৃশ্যমান নাজাসত কে তিনবার দৌত করতে হবে।কেননা নবীজী সাঃ বলেনঃ
যখন কেউ ঘুম থেকে জাগ্রত হবে সে যেন পাত্রে হাত না দেয়, যতক্ষণ না সে হাতকে তিনবার দৌত করবে।কেননা সে জানে না তার হাত কোথায় রাত্রিযাপন করেছে।সুতরাং যখন ধারণাকৃত নাজাসকে তিনবার দৌত করার কথা বলা হয়েছে তাই বাস্তবিক নাজাসকে অবশ্যই তিনবার দৌত করবে।এটাই আমাদের মাযহাব। (মাবসুত-সারখাসী১/৯৩)